রম্যাঁ রলাঁ (১৮৬৬—১৯৪৪) ১৯১৫ সালে নোবেল পুরস্কারপ্রাপ্ত মহান ফরাসি ঔপন্যাসিক, নাট্যকার, জীবনীকার ও সংগীতজ্ঞ; ম্যাক্সিম গোর্কির মতে

রম্যাঁ রলাঁ (১৮৬৬—১৯৪৪) ১৯১৫ সালে নোবেল পুরস্কারপ্রাপ্ত মহান ফরাসি ঔপন্যাসিক, নাট্যকার, জীবনীকার ও সংগীতজ্ঞ; ম্যাক্সিম গোর্কির মতে ‘ফ্রান্সের তলস্তয়’। এদেশে তাঁকে আমরা চিনি রবীন্দ্রনাথের বন্ধু এবং গান্ধিজী, শ্রীরামকৃষ্ণ আর স্বামী বিবেকানন্দের জীবনীকার হিসাবে। কিন্তু এই শুধু? ‘জাঁ-ক্রিস্তফ’ ও ‘বিমুগ্ধ আত্মা’ উপন্যাসের রচয়িতা এবং ‘জনতার থিয়েটার’-এর ভাবনার উপস্থাপক, মিকেলাঞ্জেলো, বেটোফেন, তলস্তয়, হ্যান্ডেল, মিয়ে-র জীবনী-রচয়িতা রলাঁ একসময় বাঙালির অতি পরিচিত ও প্রিয় সাহিত্যিক; আজ বাঙালি মানসে ক্রমশ অস্পষ্ট হয়ে আসছেন। সহপাঠী বন্ধুরা বলত এক ‘বরফে ঢাকা আগ্নেয়গিরি’। রবীন্দ্রনাথের ভাষায় পাশ্চাত্যে তাঁর ‘সবচেয়ে বড় আপনজন’, গান্ধিজীর ভাষায় ‘ঋষি’। গোর্কি, হেসে, ফ্রয়েড, কার্ল স্পিটলারের বন্ধু; এমনকী সমালোচনাপ্রবণ এইচ. জি. ওয়েলস-এর মতে “জগতে এমন কোনো মানুষ নেই যাকে আপনার চেয়ে বেশি শ্রদ্ধা করি।” আঁদ্রে মালরোর ভাষায় ‘শেষ মহৎ রোম্যান্টিক’। তিনি যতটা ফরাসি, ততটাই ইউরোপীয়। তলস্তয়, বেটোফেন ও শেকসপিয়র তাঁর আদর্শ; এঁরা সকলেই দেশকালের সীমানার বাইরে। স্টেফান ৎসোয়াইগ তাঁর জীবনীতে মনে করিয়ে দিয়েছেন, শৈশব থেকেই তিনি জাতীয়তাবাদের বেড়া ভেঙেছেন। বিশ্বচরাচরে তাঁর অন্বেষণ। মহৎ ফরাসি সাহিত্যিকদের মধ্যে এখানেই রলাঁ সকলের চেয়ে আলাদা। কতটুকু চিনেছি আমরা গত শতাব্দীতে মানবতার এই অতন্দ্র প্রহরী ও মহাশিল্পীকে? সংগীত তো বটেই, শেকসপিয়রের নাটক কীভাবে বাঁচিয়ে তুলেছিল এক আঁধার-মথিত সংকটে? কীভাবে তৈরি হয়েছিল তাঁর ‘মন’? ১৬২৩ সালে শেকসপিয়রের প্রথম ‘ফোলিও’ প্রকাশের চারশো বছর পরে রম্যাঁ রলাঁ (১৮৬৬—১৯৪৪) ১৯১৫ সালে নোবেল পুরস্কারপ্রাপ্ত মহান ফরাসি ঔপন্যাসিক, নাট্যকার, জীবনীকার ও সংগীতজ্ঞ; ম্যাক্সিম গোর্কির মতে আত্মানুসন্ধানের এই স্বল্পালোকিত গুরুত্বপূর্ণ দিকটি স্মরণ করা যাক। শেকসপিয়র সেই দীপ, যা রলাঁর জীবনের মৃত্যুঘনঘোর তমসায় বারবার আলো দেখিয়েছে। অসুস্থতা আর মৃত্যু-উৎকণ্ঠা থেকে মুক্তির জন্য অল্প বয়সে বোন হারানো, বুকের ব্যাধিতে আক্রান্ত সতেরো-আঠারো বছরের রলাঁ তখন আবিষ্কার করে চলেছেন বেটোফেন ও ভাগনার। রুবেনস্টাইনের হাতে বেটোফেনের উদ্ভাস তাঁকে ও সহপাঠী পল ক্লোদেলকে চমকিত করে দিচ্ছে। আর তখনি ১৮৮৪ সালে তিনি আবিষ্কার করেন থিয়েটারকে, প্রথমে ম্যুনে-স্যুলি অভিনীত ‘রাজা ঈদিপাস’ এবং পরে সারা বের্নহার্ট-এর ‘ম্যাকবেথ’।...

Read the Digital Edition of Udbodhan online!

Subscribe Now to continue reading

₹100/year

Start Digital Subscription

Already Subscribed? Sign in