রথের অগ্রগামিতা সভ্যতার শিশুকালে সামাজিক বিকাশের এক বীরভোগ্য সূচনা। যে-বীর রথের আবিষ্কারকে একদিন

রথের অগ্রগামিতা সভ্যতার শিশুকালে সামাজিক বিকাশের এক বীরভোগ্য সূচনা। যে-বীর রথের আবিষ্কারকে একদিন বসুন্ধরার বুকে বেগবান করেছিলেন, বসুন্ধরা তাঁকে বরণ করে নিয়েছিলেন গতিশীলতার আনন্দে। আসলে গতির একটা নিজস্ব আনন্দ আছে। তার ছন্দে কোনো কিছু বদ্ধ-গুমোট হয়ে থাকে না। তার চলার পথে আগের দৃশ্য পরের বাঁকে পালটে পালটে যায়। পরিণতির রম্যতায় রথগতি তাই মুখরিত। সেই কারণেই হয়তো √রম্ ধাতু থেকে রথ শব্দের নিষ্পত্তি। উৎপত্তির ঊষাকালেই প্রাচীনতম বৈদিক সাহিত্যে রথ তার স্বাক্ষর দিয়ে রেখেছে একাধিক আঙ্গিকে—কখনো ব্যাবহারিক উল্লেখে; আবার কখনো উপমার অঙ্গরাগে। ধীরে ধীরে তার বেগের উত্তরণ হয়েছে জগৎ থেকে অতিজাগতিকতার মুক্ততটে। তাই কবিরা গেয়েছেন : “রথে তু বামনং দৃষ্ট্বা পুনর্জন্ম ন বিদ্যতে।” জন্ম-মৃত্যুর পারেই আছে জীবনের পরিপূর্তি—অবিরাম শান্তিধারার অক্ষয় উৎসমুখ। সে-ধাম আষাঢ়ের জলভরা মেঘের মতো কাজলঘন শোভায় সমুজ্জ্বল। রথযাত্রার আনন্দে ঢলঢল সেই জলদ জলভারসুখে ঘনায়মান। এখনি যেন সে বিগলিত হয়ে পুনর্জন্ম-রোধে আপামরে গতি জাগাবে। জীবদেহই তখন রথ। আর বামনরূপী আত্মাই রমণীয় রথী।  

Read the Digital Edition of Udbodhan online!

Subscribe Now to continue reading

₹100/year

Start Digital Subscription

Already Subscribed? Sign in