রামকৃষ্ণ সংঘের যদাদ্রি ভুবনগিরি আশ্রমটি রামকৃষ্ণ সংঘের ত্রয়োদশ অধ্যক্ষ স্বামী রঙ্গনাথানন্দ
রামকৃষ্ণ সংঘের যদাদ্রি ভুবনগিরি আশ্রমটি রামকৃষ্ণ সংঘের ত্রয়োদশ অধ্যক্ষ স্বামী রঙ্গনাথানন্দ মহারাজের অন্যতম আবিষ্কার। এটি অধ্যাত্মপিপাসুদের কাছে তাঁর এক সপ্রেম উপহার। আশ্রমের চারপাশে বিশাল বনভূমি অনায়াসেই মনকে শান্ত করে তোলে। মহারাজ আজকালকার আধুনিক মানবসমাজের, বিশেষ করে যারা জীবনসায়াহ্নে এসে উপনীত—তাদের জন্য আধ্যাত্মিক পরিবেশ সৃষ্টির মহৎ উদ্দেশ্যে এই কেন্দ্রটি শুরু করেছিলেন। আশ্রমটি দেখলে মনে পড়ে যায় স্বামী বিবেকানন্দ পরিকল্পিত মায়াবতী অদ্বৈত আশ্রমের কথা। স্বামীজীর স্বপ্ন ছিল হিমালয়ে গভীর ধ্যানচর্চার একটি কেন্দ্র গড়ে উঠুক। তাঁর একান্ত অনুগত ভক্ত ক্যাপ্টেন সেভিয়ার ও মিসেস সেভিয়ারের সহায়তায় তাঁর সেই স্বপ্ন সার্থক হয়। ঠিক সেরকমই স্বামী রঙ্গনাথানন্দ মহারাজেরও ইচ্ছা ছিল, যারা আন্তরিকভাবে ভগবানলাভে ব্যাকুল, বিশেষ করে প্রবীণ সাধকব্যক্তিদের জন্য একটি আধ্যাত্মিক সাধনকেন্দ্র গড়ে তোলা। তাঁর এই মহতী ইচ্ছা এক ভক্তমণ্ডলীর অনলস প্রচেষ্টায় বাস্তবায়িত হয়েছে। একথা সর্বজনবিদিত যে, স্বামী রঙ্গনাথানন্দ মহারাজ শাশ্বত ভারতের একজন বহু প্রশংসিত প্রতিনিধি ছিলেন। তিনি ভারতে ও বহির্ভারতে বেদান্তের চিরন্তন বার্তা এবং রামকৃষ্ণ-বিবেকানন্দ ভাবধারা প্রচার করেছেন অপরিসীম উদ্যমে। দরিদ্র ও পীড়িত জনসাধারণের প্রতি সদা ব্যাকুল ছিল তাঁর সংবেদনশীল বিশাল হৃদয়। অনুন্নত সমাজ এবং নারীজাতির মঙ্গলসাধনে ছিলেন অত্যন্ত আগ্রহী। তাদের নিজের পায়ে দাঁড়াতে তিনি নানাভাবে সাহায্য করেছেন। মানুষের সামাজিক ও আধ্যাত্মিক হিতসাধনের ক্ষেত্রে তাঁর অবদান অতুলনীয়। তাঁর পবিত্র জীবন ও অসাধারণ প্রেরণাদায়ী ভাষণ দেশ-বিদেশের অগণিত মানুষকে প্রভূত আনন্দ দিয়েছে। তাদের জীবনযাত্রার মানের উন্নয়ন ঘটিয়েছে। তিনি ভালবাসা, পবিত্রতা, ইতিবাচক ভাবধারায় সকলকে উদ্ভাসিত করেছেন। আধ্যাত্মিক উন্নতিসাধনে যারা আন্তরিকভাবে সচেষ্ট বিশেষ করে তাদের কাছে এই ভুবনগিরি কেন্দ্রটি এক মহাপুরুষের ভালবাসার মূর্ত রূপ। ১৯৮৭ সালে রঙ্গনাথানন্দজী মহারাজ হায়দরাবাদের রামকৃষ্ণ মঠের অধ্যক্ষ থাকাকালীন কয়েকজন ভক্তের সঙ্গে ৩৫ কিলোমিটার দূরে কিসরগুট্টা পাহাড়ে অবস্থিত একটি প্রাচীন শিবমন্দির দর্শনে যান। আনুমানিক পঞ্চম থেকে সপ্তম শতাব্দীর মধ্যে বিষ্ণুকুণ্ডিন রাজারা এই প্রাচীন মন্দির নির্মাণ করেছিলেন। রামায়ণের সমসাময়িক একটি মন্দিরের জায়গাতেই এটি বর্তমান বলে সকলের বিশ্বাস। কথিত আছে, শ্রীরামচন্দ্র নিজে এই শিবমন্দিরটি প্রতিষ্ঠা করেন ও...
Read the Digital Edition of Udbodhan online!
Subscribe Now to continue reading
₹100/year
Start Digital SubscriptionAlready Subscribed? Sign in
