একটি বিল্বপত্রে তিনটি পাতা রয়েছে—ঐ প্রত্যেকটি পাতা ব্রহ্মা বিষ্ণু মহেশ্বর অর্থাৎ সৃষ্টি

একটি বিল্বপত্রে তিনটি পাতা রয়েছে—ঐ প্রত্যেকটি পাতা ব্রহ্মা বিষ্ণু মহেশ্বর অর্থাৎ সৃষ্টি স্থিতি ও প্রলয়-এর জ্ঞাপক। (Trinity) ত্রিতত্ত্ব আর সমগ্র বিল্বপত্রটি ভগবানের মাতৃভাবের প্রতীক। সেইজন্যই তাতে [বিসর্জনের পর] শ্রীদুর্গা নাম আল্তা দিয়ে লিখতে হয়।… অন্যান্য অবতারেরা বেশীর ভাগ ভগবানকে ‘পিতা’ ‘পিতা’-ই বলে গেছেন। ঠাকুরই প্রথম ভগবানকে ‘মা’-‘মা’ বলে ডেকেছেন। মা-ই তাঁর সর্বস্ব। একদিন কেশববাবু ঠাকুরকে জিজ্ঞাসা করলেন—“আপনি ‘মা’-‘মা’ করেন কেন, আমায় বুঝিয়ে দিন তো?” ঠাকুর উত্তরে বললেন—“তুমি অসীম সাগর দেখেছ অনন্ত আকাশ দেখেছ—জগতে এত শক্তির খেলা দেখতে পারছ আর আমার মাকে বুঝতে পারছ না? মাকে চেন না? শক্তিকে চেন না? মা-যে শক্তিরূপা। মাকে না ডাকলে কিছুই হবে না। মা-ই যে সব। মা বলে ডাকলে বেশী জোর হয়। তিনিই মাতৃভাবে শক্তিরূপে পৃথিবী আকাশ সব ধারণ করে আছেন। মাকে বাদ দিয়ে বাপকে ধরা যায় না। মা-ই বাপকে দেখিয়ে দেবেন—চিনিয়ে দেবেন তবে তো হবে?” তখন কেশব বাবু বুঝলেন। এবং তারপর থেকেই তিনি ভগবানকে মাতৃভাবে ও পিতৃভাবে—এই উভয় ভাবেই উপাসনা করতে আরম্ভ করলেন। —স্বামী বিজ্ঞানানন্দ

Read the Digital Edition of Udbodhan online!

Subscribe Now to continue reading

₹100/year

Start Digital Subscription

Already Subscribed? Sign in