ভক্ত তাঁর আরাধ্যকে পেতে চায় বিভিন্ন জাগতিক সম্বন্ধের মধ্যে নিজের মতো করে। ভক্তবিলাসী
ভক্ত তাঁর আরাধ্যকে পেতে চায় বিভিন্ন জাগতিক সম্বন্ধের মধ্যে নিজের মতো করে। ভক্তবিলাসী ভগবান তাই সাধকের চোখে মিত্র, পুত্র বা প্রণয়ী হয়ে ধরা দেন সময়ে সময়ে। আবার জাগতিক সম্বন্ধগুলির মধ্যে মায়ের স্নেহ সর্বাধিক স্বার্থশূন্য ও উদার। সাধক তাই সভ্যতার অমলিন ঊষাকালেই ভগবানকে ‘মা’ বলে মেনে নিয়েছিল অন্তরের আকুতিতে। সেই চেতন-সত্তাও তখন হতেই চিরদগ্ধচিত্তে প্রেমবিন্দুর মতো করুণানয়নী মাতৃমূর্তিতে সাধকসন্তানকে আশ্বস্ত করে এসেছেন। ঋষিকন্যার কণ্ঠ-বেয়ে ঋক্-মন্ত্রে তাঁর আত্মপরিচয়ের দৃপ্ত উদ্ঘোষে পৃথ্বী হয়েছে প্রাণময়ী। একদিকে সর্বানুস্যূত অদ্বৈততত্ত্বের প্রকাশে তিনি প্রথমা এবং অন্যদিকে উচ্চতর দেবতা থেকে ক্ষুদ্রতর সাধারণ প্রাণীটিকেও লালন করার মাতৃধারায় তিনি কৃপাসুমুখী। এই দুই ভাবের মিলনেই শাক্ত-সাধক পরব্রহ্মকে ‘মা’ বলে সম্বোধন করেন। জননীও তাঁকে সাধনপথে সতত পালন করেন, ধরে রাখেন। শেষে মুক্তির নির্মল আলোকে উদ্ভাসিত করেন। তাঁর আরক্তিম পাদপীঠ তাই সন্তান-মননে নিত্য-আরাধিত, কুসুম-শোভিত। ।
Read the Digital Edition of Udbodhan online!
Subscribe Now to continue reading
₹100/year
Start Digital SubscriptionAlready Subscribed? Sign in