দোল উৎসব তো প্রায় সারা দেশেই হয় কিন্তু ব্রজের দোল উৎসব বৈচিত্রপূর্ণ। অন্যান্য

দোল উৎসব তো প্রায় সারা দেশেই হয় কিন্তু ব্রজের দোল উৎসব বৈচিত্রপূর্ণ। অন্যান্য জায়গায় দোল এক বা দুই দিনের হয়, কিন্তু ব্রজের দোল চল্লিশ দিন ধরে চলে। সেখানে লাড্ডু মার হোলি, লাঠ মার হোলি, রঙ্গভরী হোলি, ছড়িমার হোলি, হোলিকা দহন, আবির হোলি, পুষ্প হোলি, হুরঙ্গা প্রভৃতি বিভিন্নভাবে এই উৎসব উদ্‌যাপিত হয়। সেজন্য এই উৎসব গোটা বিশ্বের কাছে আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে। গরিব, বিত্তশালী সকলে মিলে এই রঙের উৎসবে মেতে ওঠে। ব্রজের হোলিতে আরেকটা অদ্ভুত ব্যাপার যে, সবসময় রাধা আর কৃষ্ণকে নিয়েই দোল খেলা হয়। কৃষ্ণ শ্যামবর্ণ ছিলেন আর রাধারানি গৌরবর্ণ। রাধারানি ও তাঁর সখীরা এই নিয়ে কৃষ্ণকে রাগাতেন। একদিন এই কথা কৃষ্ণ যশোদা মাকে বলায় তিনি বলেছিলেন, রাধারানিকে রং মাখিয়ে দিলে তার চেহারাটা সেই রঙের হয়ে যাবে। সেই থেকেই নাকি এই উৎসবের আরম্ভ। দোলযাত্রা বসন্ত ঋতুর ফাল্গুন মাসে হয়। কিন্তু ব্রজের পরম্পরায় বসন্ত পঞ্চমী থেকে দোল উৎসব আরম্ভ হয়ে যায়। হোলি বা দোল উৎসবটা ব্রজধামে শুরু হয়েছিল। ফাল্গুন অষ্টমীতে রাধারানির বরসানা থেকে কৃষ্ণের নন্দগাঁওয়ে দোলের আমন্ত্রণ আসে। তাঁর সখীরা নাচগান করতে করতে নন্দগাঁওয়ে এসে আমন্ত্রণ জানান। লাড্ডু মার হোলি এরপর আরম্ভ লাড্ডু মার হোলি। রাধারানির যে-আমন্ত্রণ এসেছিল বরসানা থেকে, সেটা স্বীকার করে কৃষ্ণ খবর পাঠান যে, আমন্ত্রণ স্বীকার করা হয়েছে। ভক্ত বা পাণ্ডা গিয়ে বরসানাতে জানান, কৃষ্ণ আমন্ত্রণ স্বীকার করেছেন। তখন বরসানায় খুব আনন্দ—সকলে আনন্দে রং ছোঁড়ে, গায়ে রং লাগায় আর পরস্পরকে লাড্ডু খাওয়ায়। সবাই লাড্ডু দিয়ে পাণ্ডাকে স্বাগত জানায়। এই সময় লাড্ডু এত হয়ে যায় যে, খেয়ে বা সঙ্গে নিয়েও শেষ করা যায় না, তখন অন্যদের খাওয়ানো শুরু হয়, এমনকী লাড্ডু ছুঁড়তে শুরু করে। এভাবে লাড্ডু মার হোলি খেলা হয়। এই সময় বিভিন্ন ধরনের প্রচুর লাড্ডু পাওয়া যায়। বহু মানুষ লাড্ডু নিয়ে যায় মন্দিরে। সেখানে সকলের ওপরে প্রসাদি লাড্ডু ফেলা হয়। এর জন্য অপেক্ষা করে থাকে সবাই। বরসানায় লাঠমার হোলি...

Read the Digital Edition of Udbodhan online!

Subscribe Now to continue reading

₹100/year

Start Digital Subscription

Already Subscribed? Sign in