ভারতবর্ষ পুণ্যভূমি, ধর্মভূমি। এর সুবিশাল ভূমিখণ্ডে রয়েছে বহু পবিত্র তীর্থক্ষেত্র, যেখানে

ভারতবর্ষ পুণ্যভূমি, ধর্মভূমি। এর সুবিশাল ভূমিখণ্ডে রয়েছে বহু পবিত্র তীর্থক্ষেত্র, যেখানে আধ্যাত্মিক ভাব স্পন্দিত হয় অনুক্ষণ। এগুলির কোনোটি দেবতার আত্মপ্রকাশের কারণে, কোনো স্থান বহু সাধকের বহু সাধনার প্রবহমান ধারায় এবং কিছু বিশেষ ক্ষেত্র দেব-মানবের লীলাস্থল হিসাবে মহিমান্বিত। মথুরা-বৃন্দাবন—এই যুগ্ম জনপদ শ্রীকৃষ্ণের শৈশব থেকে কৈশোরের লীলাস্থান হওয়ার কারণে ভারতবাসীর কাছে অন্যতম প্রধান আকর্ষণীয় তীর্থভূমি। সখ্য, বাৎসল্য ও মধুর ভাবের চরম অভিব্যক্তির স্থান মথুরা ও বৃন্দাবন। কালাতিক্রমে বৃন্দাবনধামের বহিরঙ্গে পরিবর্তন এলেও তার মর্মস্থলে আজও সেই প্রেমাভক্তির রসধারা প্রবহমান। শ্রীচৈতন্যদেবের পার্ষদ রূপ ও তাঁর ভাই সনাতন গোস্বামী হলেন প্রকৃতপক্ষে বর্তমান বৃন্দাবন তীর্থের রূপকার। ১৫১৫ খ্রিস্টাব্দে চৈতন্যদেব স্বয়ং বৃন্দাবনে পদার্পণ করেন। সে-সময় বৃন্দাবন ছিল জঙ্গলাকীর্ণ, জীর্ণদশাগ্রস্ত। দিব্যভাববিহ্বল অবস্থায় তাঁর কৃষ্ণলীলা দর্শন হতো। সহজেই তিনি নির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত করে দেন কয়েকটি লীলাস্থান। অতঃপর তাঁরই আজ্ঞায় রূপ-সনাতন এবং অন্য কয়েকজন সুযোগ্য বৈষ্ণবের প্রচেষ্টায় সময়ের অবগুণ্ঠন তুলে পুনরায় আত্মপ্রকাশ করল দ্বাপরের সেই শ্রীকৃষ্ণলীলাক্ষেত্র। আমাদের মানস তীর্থদর্শন শুরু মথুরায় শ্রীকৃষ্ণের আবির্ভাবস্থল থেকে। সন্তানশোকে বিহ্বল দেবকী-বসুদেবের সদ্যোজাত শিশুটি মাতা-পিতার আতঙ্ক নিরসন করে দর্শন দিলেন স্ব-স্বরূপে—চতুর্ভুজ নারায়ণমূর্তিতে। জানালেন, পূর্বজন্মে তাঁদের কঠিন তপস্যায় প্রদত্ত প্রতিশ্রুতি অনুসারে, ধর্মরক্ষার্থে তাঁদেরই সন্তান হয়ে এই তৃতীয়বার তাঁর মানবদেহে অবতরণ। শ্রীকৃষ্ণের প্রপৌত্র বজ্রনাভ এই স্থানে প্রথম একটি সাধারণ মন্দির নির্মাণ করেছিলেন। বর্তমানে একটি প্রাসাদোপম মন্দির ও সংলগ্ন স্থানে কারাগারের আবহে নির্মিত একটি কক্ষ আছে, যা ভক্তচিত্ত আবেগমথিত করে। অদূরে দ্বিশতাধিক বছরের প্রাচীন ‘দ্বারকাধীশ মন্দির’। এর সন্নিকটেই যমুনাতীরের ‘বিশ্রাম-ঘাট’ লীলা-ইতিহাসের স্মারক। চানূর ও মুষ্টিককে নিধনের পর মল্লভূমিতে উপবিষ্ট কংসকে দুই হাতের নিষ্পেষণে বধ করেছিলেন কৃষ্ণ। মহালীলা সমাপনান্তে পরিশ্রান্ত হয়ে দুই বালক কৃষ্ণ ও বলরাম আসেন এই বিশ্রামঘাটে, যমুনার শীতল জল ও স্নিগ্ধ হাওয়ায় দেহ-মনের ক্লান্তি জুড়াতে। শহর ছাড়িয়ে এগিয়ে যাই পুরানো গোকুলে, যেখানে বসুদেবের ভ্রাতা শ্রীনন্দের নিবাস।১ যমুনা পেরিয়ে বসুদেব এখানেই নন্দভবনে গোপালকে নিয়ে আসেন। নগরায়ণের ক্রমবিস্তার গোকুলকে স্পর্শ করলেও আজও প্রাচীন ব্রজমণ্ডল নিশ্চিহ্ন হয়নি। এখানে প্রধান দর্শনীয়...

Read the Digital Edition of Udbodhan online!

Subscribe Now to continue reading

₹100/year

Start Digital Subscription

Already Subscribed? Sign in