শ্রীরামকৃষ্ণের মানসপুত্র রাখালরাজ, স্বামীজীর আদরের রাজা, শ্রীরামকৃষ্ণ সংঘে সুপরিচিত ‘শ্রীমহারাজ’ স্বামী ব্রহ্মানন্দজী।
শ্রীরামকৃষ্ণের মানসপুত্র রাখালরাজ, স্বামীজীর আদরের রাজা, শ্রীরামকৃষ্ণ সংঘে সুপরিচিত ‘শ্রীমহারাজ’ স্বামী ব্রহ্মানন্দজী। তাঁর সুদীর্ঘ একুশ বৎসরের অধ্যক্ষ থাকাকালীন রামকৃষ্ণ সংঘ সুদৃঢ় ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ১৯২২ সালের ১০ এপ্রিল বলরাম মন্দিরে দেহাবসান হল শ্রীমহারাজের। গঙ্গাতীরে পূত হোমাগ্নিতে সমর্পিত হল তাঁর দেহ। স্থির হয়, তাঁর সমাধিস্থানের উপর নির্মিত হবে স্মৃতিমন্দির। এর দায়িত্ব অর্পিত হয় তাঁরই শিষ্য শংকরানন্দজীর উপর। তাঁর অপর শিষ্য নির্বাণানন্দজীও মন্দিরের কাজকর্ম মাঝে-মাঝে তদারক করতেন। মাত্র দুবছরের মধ্যেই শ্রীমহারাজের মন্দিরটি সম্পূর্ণ হয় তাঁদের সুদক্ষ পরিচালনায়। মন্দির নির্মাণের মোট ব্যয় হয়েছিল চল্লিশ হাজার টাকা। সম্পূর্ণ টাকাটাই দিয়েছিলেন শ্রীরামকৃষ্ণের শিষ্য নবগোপাল ঘোষের তৃতীয় পুত্র শ্রীমহারাজ-শিষ্য শ্যাম ঘোষ।১ বিরজানন্দজীর জীবনীতে পাই—বিরজানন্দজী শ্যামলাতালে। পূঃ মহাপুরুষ মহারাজ মঠ ও মিশনের নতুন অধ্যক্ষ। [তিনি] সংবাদ পেলেন রাজা মহারাজের আশ্রিত শ্যামবাবু (ঠাকুরের ভক্ত নবগোপাল ঘোষের পুত্র) তাঁর সমাধিমন্দির নির্মাণের জন্য ৪০,০০০ টাকা দিয়েছেন।২ মন্দিরটি দৈর্ঘ্যে ও প্রস্থে উভয়ত ৩২ ফুট ৬ ইঞ্চি; উচ্চতায় ৩০-৩৫ ফুট। গর্ভমন্দিরের চতুর্দিকে পরিক্রমার পথ ৮ ফুট। এটি শ্বেতপাথরের। গর্ভমন্দিরের মাপ দৈর্ঘ্যে ও প্রস্থে প্রায় ২৩ ফুট। মন্দিরটি দোতলা। গর্ভমন্দিরের উপর প্রধান গম্বুজ। পরিক্রমার প্রান্তভাগের স্তম্ভগুলি নক্সাযুক্ত আর্চের দ্বারা সংযুক্ত। চারিদিকে পাঁচটি করে মোট আর্চের সংখ্যা কুড়িটি। মন্দিরের প্রধান গম্বুজ ব্যতীত চারকোণে চারটি একই সাইজের, অপেক্ষাকৃত ছোট গম্বুজ। প্রধান গম্বুজ ও অন্যান্য গম্বুজের মধ্যে চারচালা মন্দিরের মতো চারটি চাল। প্রতি গম্বুজের শীর্ষদেশে বেঁকি, আমলক, কলস ও বিষ্ণুচক্র স্থাপিত। প্রধান দরজা ছাড়া উত্তর ও দক্ষিণে আছে আরো দুটি দরজা। গর্ভমন্দিরের ভিতরের মেজে শ্বেতপাথরের। মন্দিরের ভিতরের দেওয়াল ৩১/২ ফুট উঁচু, পাথরের তৈরী। ৬ ফুট × ২ ফুট ৩ ইঞ্চি একটি বেদীর উপর আর একটি ৩ ফুট ৬ ইঞ্চি × ১ ফুট ৬ ইঞ্চি বেদী। তার উপর ব্রহ্মানন্দজীর শ্বেতপাথরের মূর্তি। দোতলায় শ্রীমহারাজের শয়নঘর ও তাঁর ব্যবহৃত জিনিসপত্রাদি রক্ষিত। মন্দিরের মধ্যে সিংহাসনে বহু বছরের পূজিত অষ্টধাতুর বালগোপাল মূর্তি। শ্রীমহারাজের মন্দিরের দ্বারোদ্ঘাটন করেন সংঘাধ্যক্ষ শিবানন্দজী ১৯২৪ সালের...
Read the Digital Edition of Udbodhan online!
Subscribe Now to continue reading
₹100/year
Start Digital SubscriptionAlready Subscribed? Sign in