বেলুড়ের মাটির সঙ্গে শ্রীশ্রীমায়ের যোগ মঠস্থাপনের বহু আগে থেকে—১৮৮৮ সালের মে-জুন মাসে প্রায় ছয়মাস নীলাম্বর মুখোপাধ্যায়ের ভাড়াবাড়িতে অবস্থানকালে।

[পূর্বানুবৃত্তি : শ্রাবণ সংখ্যার পর]।।৭।। মঠভূমিতে শ্রীশ্রীমা বেলুড়ের মাটির সঙ্গে শ্রীশ্রীমায়ের যোগ মঠস্থাপনের বহু আগে থেকে—১৮৮৮ সালের মে-জুন মাসে প্রায় ছয়মাস নীলাম্বর মুখোপাধ্যায়ের ভাড়াবাড়িতে অবস্থানকালে। এরপর ১৮৯০ সালের ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাসে বেলুড়ে রাজু গোমস্তার বাড়িতে কিছুদিন এবং মে-জুন মাসে বেলুড়ের শ্মশানের কাছে ঘুষুড়িতে এক ভাড়াবাড়িতে শ্রীশ্রীমা কিছুদিন ছিলেন। আবার নীলাম্বরবাবুর ভাড়াবাড়িতে বাস করেন ১৮৯৩ সালের জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত।১৬৪ মঠের জন্য কেনা জমিতে মা প্রথম পদার্পণ করেন ১৮৯৮ সালের ৭ এপ্রিল। এই সময় স্বামীজী দার্জিলিঙে ছিলেন। তখন মঠের নতুন জমি সমান করা হয়ে গেছে এবং বাড়ি তৈরির কাজ চলছে৷ ঐদিন বাগবাজার থেকে নৌকা করে মা নীলাম্বরবাবুর বাগানবাড়িতে এসে পৌঁছান। সঙ্গে ছিলেন স্বামী যোগানন্দজী, ব্রহ্মচারী কৃষ্ণলাল ও গোলাপ-মা। আহারের পর বিশ্রাম করে বিকালে তিনি ফিরে যাওয়ার জন্য যখন প্রস্তুত হচ্ছেন, নৌকায় ওঠার আগে সেবক কৃষ্ণলাল এসে স্বামী ব্রহ্মানন্দজীর কাছে সানুনয় প্রার্থনা করেন মা যাওয়ার আগে মঠের নতুন জমিতে যেন একবার পদধূলি দিয়ে যান। মায়ের কাছে আর্তি জানালে তিনি নৌকা করে মঠভূমির দিকে অগ্রসর হন। সঙ্গে গোলাপ-মা, ব্রহ্মচারী কৃষ্ণলাল, সুশীল ও আশুতোষ মিত্র। স্বামী যোগানন্দজী হেঁটে সেখানে যান। ভগিনী নিবেদিতা, সারা বুল ও জ্যোসেফিন ম্যাকলাউড সাগ্রহে মাকে প্রায় সমস্ত জমিটি ঘুরিয়ে দেখান। জমি দেখে সন্তুষ্ট হয়ে মা বলেন : “এতদিনে ছেলেদের মাথা গোঁজবার একটা জায়গা হলো। আহা, ওরা আজ এখানে, কাল সেখানে করে বেড়াচ্ছিল। ঠাকুর এতদিনে মুখ তুলে চেয়েছেন!” এরপর মা কলকাতায় প্রত্যাগমন করেন।১৬৫ ঐবছর নভেম্বর মাসে মঠবাড়ি তৈরির কাজ প্রায় সম্পূর্ণ হয়েছে ও শ্রীশ্রীঠাকুরের মন্দিরনির্মাণ চলছে। ১২ নভেম্বর সকালে শ্রীশ্রীমা তাঁর নিত্যপূজিত ঠাকুরের ফটো সঙ্গে নিয়ে কলকাতা থেকে নৌকা করে নীলাম্বরবাবুর বাগানবাড়িতে আসেন। গোলাপ-মা, যোগীন-মা প্রমুখ সঙ্গিনীগণ তাঁর সঙ্গে ছিলেন। স্বামীজী ঐদিন জোসেফিন ম্যাকলাউডকে লিখলেন : “শ্রীশ্রীমা আজ সকালে নতুন মঠ দেখতে যাচ্ছেন। আমি সেখানে যাচ্ছি।” স্বামী ব্রহ্মানন্দজী এবং স্বামী শিবানন্দজীও স্বামীজীর সঙ্গে এসেছিলেন। ঠাকুরঘরে প্রণাম করে মা মঠবাসীদের প্রণাম গ্রহণ করেন। এরপর সাধুরা তাঁকে...

Read the Digital Edition of Udbodhan online!

Subscribe Now to continue reading

₹100/year

Start Digital Subscription

Already Subscribed? Sign in