শ্রীরামকৃষ্ণদেব বালিতে কালাচাঁদ মুখোপাধ্যায়ের বাড়ির হরিসভায়৮৭ এসেছিলেন, এসেছিলেন কল্যাণেশ্বর শিব দর্শনেও। সর্বোপরি বর্তমান বেলুড় মঠের জমিও একদা তাঁর পাদস্পর্শে ধন্য হয়েছে।
[পূর্বানুবৃত্তি : জ্যৈষ্ঠ সংখ্যার পর] ।।৫।। শ্রীরামকৃষ্ণদেব বালিতে কালাচাঁদ মুখোপাধ্যায়ের বাড়ির হরিসভায়৮৭ এসেছিলেন, এসেছিলেন কল্যাণেশ্বর শিব দর্শনেও। সর্বোপরি বর্তমান বেলুড় মঠের জমিও একদা তাঁর পাদস্পর্শে ধন্য হয়েছে। আবার মঠ স্থাপনের প্রায় এক দশক আগে থেকে বিভিন্ন সময়ে শ্রীমা বেলুড়ে অবস্থান করেছেন। তিনি বলেছেন : “আহা! বেলুড়েও কেমন ছিলুম! কি শান্ত জায়গাটি! ধ্যান লেগেই থাকত। তাই ওখানে একটি স্থান করতে নরেন ইচ্ছা করেছিল।”৮৮ মঠ স্থাপনাকালেই এই স্থানের দিব্য মহিমা অনুভব করেছিলেন স্বামী বিজ্ঞানানন্দজী। তাঁর কথায় : “মঠ যখন প্রস্তুত হইতেছে তখন একদিন বাহির হইতে মঠে আসিতেছি—দেখি মঠের উপরে সোনার মত উজ্জ্বল কি জ্বল্জ্বল্ করিতেছে, মনে হইল বুঝি—দৃষ্টিভ্রম হইয়াছে। চক্ষু মুছিয়া পরিষ্কার করিয়া দেখি—সেই প্রকারই আছে। মনে হইল প্রভু! তোমার লীলাভূমির কত কি বিভূতি—আমি কি বুঝিব!”৮৯ জমির সীমানা ডোরি ব্যারাকপুর মৌজা, বোরো পরগনার বালি থানার অধীন এই জমিটির ঠিকানা ছিল ৫ নং কাঠগোলা লেন। এর দুটি প্রবেশপথ ছিল—একটি বর্তমান গিরিশ স্মৃতিমন্দিরের পশ্চিমদিকের দেওয়ালে, যা কাঠগোলা লেন (বর্তমানে নতুন নামকরণে ‘শরৎ আটা লেন’) অভিমুখী। কাঠগোলা লেনের অপরদিকে বর্তমান পল্লিমঙ্গল শোরুম, নবাগত ব্রহ্মচারী প্রশিক্ষণ কেন্দ্র প্রভৃতি এলাকা ছিল ঘোর জঙ্গলে পূর্ণ। পাশেই ছিল কবরডাঙা। উত্তরে হেম পাল লেনের কাছে আরেকটি ছোট প্রবেশপথ ছিল।৯০ জমির উত্তরদিকটি আংশিকভাবে হরিধন দত্তের বাগানবাড়ি৯১ এবং আংশিকভাবে শম্ভুচন্দ্র পালের জমির দ্বারা সীমায়িত ছিল। দক্ষিণদিকে সীমানার পরে কিছুটা অংশে কুমার শ্রীশচন্দ্র সিংহের জমি৯২ এবং কিছু অংশে পূর্ব-কথিত বিক্রেতা ভাগবত নারায়ণ সিংহের জমি ছিল।৯৩ মঠভূমির পূর্বে গঙ্গা নদী। পশ্চিমের একাংশে ছিল ভাগবত নারায়ণ সিংহের জমি, একটি রাস্তা (কাঠগোলা লেন) ও বাকি অংশে গোলাম আশরাফ৯৪, মহেন্দ্রলাল দাস, বেণীমাধব বিশ্বাস প্রমুখের জমি।৯৫ পশ্চিমের সীমানায় বর্তমান পাইপ গেটের কাছে একটি ড্রেন ছিল। কেনার সময় জমিটির উত্তরের সীমানার প্রায় সবটা এবং দক্ষিণে প্রবেশপথের কাছে সামান্য অংশে ইটের দেওয়াল ছিল।৯৬ আশপাশে ছিল কাঠের গোলা, ইটের ভাটিখানা, ছোটখাটো লোহার কারখানা এবং দক্ষিণ-পশ্চিমে কিছুটা দূরে বেলুড় বাজার। জি. টি. রোডের দুধারে অনেক...
Read the Digital Edition of Udbodhan online!
Subscribe Now to continue reading
₹100/year
Start Digital SubscriptionAlready Subscribed? Sign in