কোনো একটি উদ্দেশ্যকে সম্মুখে রাখিয়া সাফল্য লাভ করিতে হইলে প্রয়োজন বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমাদের যে-শক্তি

কোনো একটি উদ্দেশ্যকে সম্মুখে রাখিয়া সাফল্য লাভ করিতে হইলে প্রয়োজন বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমাদের যে-শক্তি অযথা ব্যয়িত হইতেছে তাহাকে একত্রিত করা। আসলে আমরা উদ্দেশ্য সম্পর্কে না ভাবিয়া কর্মে লাগিয়া পড়ি। সংসারের স্রোতে গা ভাসাইয়া দিতে আমরা এতটাই অভ্যস্ত যে, ভাসিতে ভাসিতে কোন তীরে গিয়া আমাদের তরি ঠেকিবে তাহা বুঝিতে পারি না। এই ইতস্তত-বিক্ষিপ্ত শক্তিকে উদ্দেশ্যের সহিত যুক্ত করাটা একটি মস্ত কাজ। উদ্দেশ্য এবং শক্তির মধ্যে সমন্বয়সাধন না হইলে আমাদের চিন্তা এবং কর্ম কোনো কিছুই জোট বাঁধে না, পথ হাঁটাই তখন সার হইয়া দাঁড়ায়। যে-কাজগুলি কোনোভাবে আমাদের উদ্দেশ্যসাধনে সহায়ক নহে, নিজেকে সামলাইতে না পারিয়া বা কাহারো অনুরোধে তাহা লইয়া ব্যস্ত হইয়া পড়া সমীচীন নহে। কোন বিষয়ে ‘হ্যাঁ’ বলিব আর কোনটিতে ‘না’ তাহা সম্পর্কে স্বচ্ছ ভাবনার অভাবেই এমনটা হইয়া থাকে। অন্যে আমার নিকট যাহা ইচ্ছা করিল তাহাকে নিজের ইচ্ছার সহিত মিশাইয়া আমরা অনেক সময় কর্মে প্রবৃত্ত হই। কর্তব্য বা অন্য কিছুর দোহাই দিয়া তাহা করিতে থাকি। ফলত ছড়ানো মন আরো ছড়াইয়া পড়ে। ইহার পরিণাম সম্পর্কে আমাদের কোনো ধারণা থাকে না। শেষে হতাশা, অসন্তোষ আর অশান্তি আমাদের নিত্যসঙ্গী হইয়া উঠে। কিন্তু কী উপায়? আমরা যে ‘না’ করিতে পারি না! অন্যের ইচ্ছাকে নিজের ইচ্ছার সহিত কতখানি মিশাইব, কখন কোন বিষয় বা ইচ্ছাকে অনাবশ্যক-জ্ঞানে সরাইয়া রাখিব তাহা বোঝা খুব দরকার। এই যে সরাইয়া রাখা বা কীভাবে ‘না’ বলিতে হয় তাহা জানা জীবনের একটি বড় শিক্ষা। অপ্রয়োজনীয় কর্ম বা চিন্তা যাহা অযথা আমাদের মূল্যবান সময় ও শক্তি নষ্ট করিয়া থাকে, তাহাতে নিজেকে ব্যস্ত না করাই শ্রেয়। ‘না’ বলা শিখিতে হয়। সকলের সবকিছু মঞ্জুর করা সম্ভব নহে। অনেক ক্ষেত্রে মঞ্জুর না করা মঞ্জুর করিবার ন্যায় গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষত যাহারা নেতৃত্বে থাকে তাহাদের ক্ষেত্রে। তবে যাহা পার্থক্য তৈরি করে তাহা হইল ‘না’ বলিবার ভঙ্গিমা। কিছু মানুষের ‘না’ বলিবার ভঙ্গি অন্য অনেকের আবেগ-বিহীন ‘হ্যাঁ’-এর চাইতে মধুর শুনায়। ল‌ক্ষ্য রাখিতে হয় ‘না’...

Read the Digital Edition of Udbodhan online!

Subscribe Now to continue reading

₹100/year

Start Digital Subscription

Already Subscribed? Sign in