রম পূজ্যপাদ শ্রীমৎ স্বামী বিজ্ঞানানন্দজী মহারাজ শ্রীরামকৃষ্ণের অন্যতম শিষ্য
পরম পূজ্যপাদ শ্রীমৎ স্বামী বিজ্ঞানানন্দজী মহারাজ শ্রীরামকৃষ্ণের অন্যতম শিষ্য এবং রামকৃষ্ণ সংঘের চতুর্থ অধ্যক্ষ। আমার মা শান্তি ঘোষ রায়ের সৌভাগ্য হয়েছিল তাঁর কাছ থেকে দীক্ষাগ্রহণের। মায়ের কাছে শুনেছি মহারাজের নানা কথা। মায়ের ছোটবেলা কেটেছে গয়ায়। দাদু ছিলেন ওখানকার ইঞ্জিনিয়ার। দাদু-দিদিমা খুব ধর্মপরায়ণ ছিলেন। মামার বাড়িতে রামকৃষ্ণ মঠের সন্ন্যাসীদের যাতায়াত ছিল। গয়াতে সেই সময় মেয়েেদর পড়ার উপযুক্ত স্কুল ছিল না, অথচ মায়ের পড়াশোনা করার প্রবল ইচ্ছা। দাদু মাকে নিয়ে কলকাতায় এসে নিবেদিতার স্কুলে পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তি করে দিলেন। প্রতি শনিবার স্কুলের শিক্ষিকারা মায়েদের বেলুড় মঠে নিয়ে আসতেন মহারাজদের সান্নিধ্যলাভের আশায়। মায়ের মুখে শুনেছি, বিজ্ঞান মহারাজ মঠের সামনে চেয়ার নিয়ে বসে পোস্তা বাঁধানোর কাজ দেখাশোনা করতেন। একদিন স্কুলের প্রধানশিক্ষিকা মায়েদের বললেন : “তোমরা যে যে দীক্ষা নিতে ইচ্ছুক তারা বিজ্ঞান মহারাজের কাছে দীক্ষা নিতে পার। উনিই ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণদেবের শিষ্যদের মধ্যে একমাত্র বর্তমান আছেন।” মা তখনি দাদুকে তাঁর মনোবাসনার কথা জানালেন। মায়ের বয়স তখন মাত্র তেরো। সেই বয়সে লালপেড়ে শাড়ি পরে মা ও আরো পাঁচজন স্কুল-ছাত্রী শুদ্ধবস্ত্র পরে, পাঁচরকম ফল গুরুদক্ষিণা হিসাবে নিয়ে দিদিমণিদের সাথে বেলুড়ে দীক্ষা নিতে গেলেন। বিজ্ঞান মহারাজ মায়েদের একটি নির্দিষ্ট ঘরে নিয়ে গিয়ে বললেন : “কী এনেছিস আমার জন্যে, ঘরের কোণায় রাখ।” তারপর ওনার সামনে স্থির হয়ে বসতে বললেন। বললেন : “আমি যে মন্ত্র বলব, সেই মন্ত্র দিনের যেকোনো সময় স্মরণ করবি। কিন্তু সেটা অন্তর থেকে করবি।” মায়েদের তিনি একটি করে রুদ্রাক্ষের মালা দিয়েছিলেন। মা বলেন, ওনার সেই শান্ত, স্থির, সৌম্য চেহারা অদ্ভুত এক ছোঁয়া দিল মনে। ঐ বাল্যবয়সে এক অপূর্ব অনুভূতির সঞ্চার হয়েছিল মনে। স্বপ্না বসুকলকাতা
Read the Digital Edition of Udbodhan online!
Subscribe Now to continue reading
₹100/year
Start Digital SubscriptionAlready Subscribed? Sign in