১ মাঘ ১৩০৫ বঙ্গাব্দে ত্রিগুণাতীতানন্দজীর (১৮৬৫–১৯১৫) সম্পাদনায় উদ্বোধন প্রকাশিত হয়। পত্রিকার প্রথম পাতার প্রচ্ছদপটে পত্রিকার পরিচিতি জ্ঞাপন করে উল্লেখ করা হয়েছিল—‘ধর্ম্মনীতি, সমাজনীতি, রাজনীতি, দর্শন, বিজ্ঞান, কৃষি, শিল্প, সাহিত্য, ইতিহাস, ভ্রমণ প্রভৃতি বিষয়ক বাঙ্গালা পাক্ষিক-পত্র ও সমালোচন৷’
১ মাঘ ১৩০৫ বঙ্গাব্দে ত্রিগুণাতীতানন্দজীর (১৮৬৫–১৯১৫) সম্পাদনায় উদ্বোধন প্রকাশিত হয়। পত্রিকার প্রথম পাতার প্রচ্ছদপটে পত্রিকার পরিচিতি জ্ঞাপন করে উল্লেখ করা হয়েছিল—‘ধর্ম্মনীতি, সমাজনীতি, রাজনীতি, দর্শন, বিজ্ঞান, কৃষি, শিল্প, সাহিত্য, ইতিহাস, ভ্রমণ প্রভৃতি বিষয়ক বাঙ্গালা পাক্ষিক-পত্র ও সমালোচন৷’ দীর্ঘ একশো চব্বিশ বছর পেরিয়ে এসে উদ্বোধন আজ একশো পঁচিশ বছরে পদার্পণ করল। নিরবচ্ছিন্নভাবে এত দীর্ঘ সময় ধরে প্রকাশিত হওয়া অবশ্যই একটি বিশিষ্ট নিদর্শন। এদিক থেকে তো পত্রিকা ব্যতিক্রমী বটেই, কিন্তু এতে পত্রিকার মর্যাদার পাশাপাশি দীর্ঘ একশো চব্বিশ বছরের সম্পাদকদের ও পত্রিকার সাথে যুক্ত সকলের কৃতিত্বই বেশি করে স্বীকৃত হয়। তাঁদের আত্মত্যাগ ও নিরলস পরিশ্রমের নানান স্মৃতি আমরা ইতিমধ্যে কিছু কিছু জেনেছি৷ জেনেছি ত্রিগুণাতীতানন্দজী কী অপরিসীম পরিশ্রমে ধারাবাহিকভাবে চারবছর (মাঘ ১৩০৫—পৌষ ১৩০৯) ধরে পাক্ষিক উদ্বোধন প্রকাশ করেছেন! পরবর্তিকালে সারদানন্দজীর (১৮৬৫–১৯২৭) মতো প্রবল কর্মপ্রবণ মানুষ কীভাবে বারবার পত্রিকা সম্পাদনার মাধ্যমে (এককভাবে বা যৌথভাবে) উদ্বোধন-এর অভিমুখ নির্দেশ করে দিয়েছেন!— এরকম বহু আত্মত্যাগের কথা আমাদের কাছে এখনো অজানা রয়ে গেছে। কেননা পত্রিকা প্রকাশের পশ্চাৎপটের কথা আমাদের অজানাই থাকে৷ একটি পত্রিকার নিরবচ্ছিন্ন প্রকাশ আসলে একটি আন্দোলন—যা নীরবে মানুষের মধ্যে পরিবর্তন ঘটায়। এর জন্য প্রতিনিয়ত এক বা একাধিক জন রসদ জোগাড় করে যান। স্বামীজী এই নীরবে ঘটে যাওয়া বিপ্লবটাই চেয়েছিলেন, যা তিনি সফলভাবে একটি পরিকাঠামোর মধ্যে নিবিষ্ট করে দিয়ে গেছেন। উদ্বোধন-এর এই গৌরবগাথা তাঁর প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠানেরও। এই গৌরবের জন্যই হয়তো পরবর্তিকালে উদ্বোধন-এর প্রচারপত্রে বা বিজ্ঞাপনে উল্লেখিত হয়েছে ‘রামকৃষ্ণ মঠ ও রামকৃষ্ণ মিশনের একমাত্র বাংলা মুখপত্র’-এর পরিচয়বার্তা। এই পরিচয়বার্তা থেকেই হয়তো জনমানসে বিশ্বাস জন্মেছে উদ্বোধন একটি ‘ধর্মীয় পত্রিকা’। কিন্তু এতে পত্রিকার অভ্যন্তরীণ ব্যতিক্রমী চেহারাটা ফুটে ওঠে না! পরিস্ফুট হয় না কোন শক্তিতে উদ্বোধন অন্য সমস্ত পত্রিকার থেকে অনন্য হয়ে উঠেছে! কিংবা বোঝা যায় না উদ্বোধন পত্রিকার জোরটা আসলে কোনখানে! এগুলোই আজ স্বল্প পরিসরে জেনে নেওয়া দরকার। ।। দুই ।। ইউরোপীয়দের অনুকরণে বাংলা ভাষায় উনিশ শতকে পত্র-পত্রিকার চর্চা শুরু হয়েছিল। বাংলা...
Read the Digital Edition of Udbodhan online!
Subscribe Now to continue reading
₹100/year
Start Digital SubscriptionAlready Subscribed? Sign in