ধন পত্রিকার গত জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০ সংখ্যার ‘প্রাসঙ্গিকী’ বিভাগে চিত্রা মল্লিকের ‘আমি বসুমতী মাকে দেখেছি’ শিরোনােমর পত্র প্রসঙ্গে জানাই,

উদ্বোধন পত্রিকার গত জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০ সংখ্যার ‘প্রাসঙ্গিকী’ বিভাগে চিত্রা মল্লিকের ‘আমি বসুমতী মাকে দেখেছি’ শিরোনােমর পত্র প্রসঙ্গে জানাই, শ্রীমা সারদাদেবীর জননী শ্যামাসুন্দরীদেবী এবং বসুমতী মায়ের জননী এলোকেশীদেবী দুই সহোদরা ভগিনী ছিলেন। আবার শ্রীরামকৃষ্ণের পিতা ও বসুমতী মায়ের পিতা ছিলেন জেঠতুতো-খুড়তুতো ভাই। এক অপূর্ব মেলবন্ধন! ঠাকুর ও মায়ের অপার স্নেহধন্যা বসুমতী মা। ঠাকুর নিজ ইষ্টদেবীর নামানুসারে তাঁর নাম দিয়েছিলেন ‘ভবতারিণী’। ঠাকুরের কোলে-পিঠে চড়ে, আদরে-সোহাগে বড় হয়েছিলেন, কৃপাসিদ্ধা হয়েছিলেন এই বসুমতী মা। ঠাকুর তাঁর ভক্ত উপেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় (বসুমতী পত্রিকার সম্পাদক ও বসুমতী পুস্তক প্রকাশনার প্রতিষ্ঠাতা)-এর সঙ্গে তাঁর বিবাহ দিয়েছিলেন। স্বামী-পুত্র-নাতিকে হারিয়ে বৈরাগ্যের অনলে দগ্ধ হয়ে পরিণত বয়সে সংসার ছেড়ে কাশীধামে বসুমতী মায়ের অসামান্য তপস্বিনীর জীবন শ্রীরামকৃষ্ণ-ভক্তমণ্ডলীর কাছে এক উজ্জ্বল আলোকবর্তিকা। তাঁর জীবনের নানা ঘটনা হৃদয়স্পর্শী আর অনুভূতির কথা অতিসংবেদনশীল। উদ্বোধন থেকে ঠাকুর ও মায়ের বহু বিশিষ্ট ভক্তের জীবনী বা স্মৃতিকথা প্রকাশিত হলেও বসুমতী মায়ের স্মৃতিকথার পূর্ণাঙ্গ স্বতন্ত্র গ্রন্থ প্রকাশ পায়নি। এবিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া হলে তা অতি উত্তম কার্য হবে। নিতাই নাগচাঁদমারিডাঙা, বাঁকুড়া-৭২২১০১

Read the Digital Edition of Udbodhan online!

Subscribe Now to continue reading

₹100/year

Start Digital Subscription

Already Subscribed? Sign in