হেমন্তের গোধূলির আমন্ত্রণে ইছামতির বুকে
নিভন্ত আলোয় সেই কবে ভাটিয়ালি গেয়েছে মাঝি
তবুও মনের মধ্যে মাঘের শিশির জমা হলো না
দাঁড়ের কিনারে লেগে ছিল মুচড়ে পড়া ভাঙা আলো
পাল শতছিন্ন ছিল জর্জরিত ফুসফুসের মতো
প্রতিদিন ঈশ্বরী পাটনির অপেক্ষায় জল কেটে ফিরে আসে
নৌকার ছই জুড়ে বিষণ্ণ চাঁদ দেখা গেলে
মাঝি কাঠের পাটায় মাথা রেখে ভাবে
মুখ চেয়ে থাকা বাবা মায়ের কথা
ভাবে শুকিয়ে যাওয়া বউয়ের কথা
খিদের জ্বালায় ঘুমিয়ে পড়া ছেলেমেয়েগুলোর মুখ
ভাবতে ভাবতে অচিনপুরে ডুবে যায়, আর ক্রমশ
আকাশে চাঁদ ভাতের ফেনের মতো গাঢ় হয়ে ওঠে
নিভৃতে ভাবে অনন্ত পথ পাড়ি দিতে হবে
যে পথের চারপাশে পারিজাত ফুটে আছে
যা ওর খোঁপায় নিশ্চিত তারার মতো জ্বলতো।