এই সেই কামারপুকুর। শস্যখেতের শ্যামল সাগর মাঝে কার যেন প্রতীক্ষায় উন্মনা চেয়েছিল সে,

এই সেই কামারপুকুর। শস্যখেতের শ্যামল সাগর মাঝে কার যেন প্রতীক্ষায় উন্মনা চেয়েছিল সে, নিভৃতে দীর্ঘকাল। যেন বা অরণ্যমধ্যে তপঃশোভিত প্রাচীন কোনো ঋষি। তার সাধনায় সারল্য ছিল, দিনচর্যাটি প্রাণের আকুতিতে সজল ছিল; কিন্তু খ্যাতিহীন অতলে কোনো উদ্বেগ ছিল না। রাতজাগা শান্ত নয়নে দিনগোনার যে দুর্মর অজপা লেগেছিল—তা-ই পল্লির প্রাণস্পন্দন। শেষে এল ফাল্গুনের মধুযামিনী। কোনো এক শিশুর কোমল স্পর্শে সে চকিতে তাকাল। তার সেই পরানপুতলি যে খেলা করছে তারই বুকের ওপর! অখিল রসামৃত কি ঘনীভূত হয়ে এল হেথায়? আহা! বিভূতিপূরিত তনুখানি প্রেমে সুবিমল। একদিন এই দেবশিশু সারা সংসারে তপস্যার অনল উজাগর করবেন বলেই কি পাবকাধার উনানের পাশে তার এই বাল্যলীলা? ত্যাগের ঈশ্বর হবেন বলেই কি এই ভস্মসজ্জা? জগতের সব ক্লেশ নিমেষে নিষ্পেষণ করবেন বলেই কি ঢেঁকিশালে শয়ন? সেসব উত্তর আজ অনেকে জানলেও সেদিন কিন্তু শুধু তুমিই জানতে, হে কামারপুকুর! তাই সিদ্ধ তোমার সাধনা। তোমায় প্রণাম! 

Read the Digital Edition of Udbodhan online!

Subscribe Now to continue reading

₹100/year

Start Digital Subscription

Already Subscribed? Sign in