ঊনবিংশ শতাব্দীতে গোটা জাতি যখন ঔপনিবেশিকতার দাসত্বে মাথা নুইয়ে সেলাম ঠুকতে ব্যস্ত, সেই সময়ে অপরাজেয় মহীরুহের মতো একা দাঁড়িয়েছিলেন মহামহিম বিদ্যাসাগর। সম্প্রতি তাঁর দ্বিশতবার্ষিক জন্মদিন সাড়ম্বরে পালিত হয়েছে। তাঁকে নিয়ে বাঙালির এমন উদ্দীপনা প্রথম নয়, তাঁর শতবর্ষ বা সার্ধশতবর্ষেও গবেষক-লেখকগণ তাঁকে শ্রদ্ধা জানিয়েছিলেন। কিন্তু তত্ত্বকথার ভিড়ে বিদ্যাসাগর-নির্মিত ছোটদের জগৎ কি আড়ালে রইল? বর্ণপরিচয়ের ঘ্রাণ দিয়েই প্রতিটি বাঙালি শিশুর বিদ্যাশিক্ষার শুরু। সেই আকাঙ্ক্ষাপূরণের কাজই করেছেন ডঃ বিভাস মণ্ডল তাঁর মহামানব বিদ্যাসাগর বইটির মাধ্যমে। বিদ্যাসাগরের সামগ্রিক জীবনপাঠ আসলে ভবিষ্যতের শিক্ষা দেয়। সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখে বিদ্যাসাগরের জীবনের নানান অধ্যায় এবং মাতৃভক্তি, সমাজসংস্কার, নারীশিক্ষা ইত্যাদি বিষয়গুলি বিভিন্ন ঘটনা সহযোগে ১৯টি পরিচ্ছেদে ছোটদের বোধগম্য করে রচনা করেছেন তিনি।
ডঃ বিভাস মণ্ডল
জলদর্চি
সুপ্রিয়া প্রধান মণ্ডল
১২০.০০
কঠিন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বয়ে চলা জীবনস্রোতে নানা চড়াই-উতরাইয়ের সাক্ষী বিদ্যাসাগর। আজকের প্রজন্ম সেখান থেকে পথচলার রসদ সংগ্রহ করতে পারে বলেই গ্রন্থটি অবশ্যই পাঠ করা উচিত।