সুকুমার সেন শ্রেষ্ঠ দুজন বাঙালি হিসাবে বেছে নিয়েছিলেন চৈতন্যদেব ও রবীন্দ্রনাথকে। চৈতন্যদেবের আবির্ভাব বাংলার
বহুরূপে মহাপ্রভুসম্পা :রাধাবিনোদিনী বিন্তি বণিকপ্রকা : ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল ফোরাম অব আর্ট অ্যান্ড কালচার৫৫০.০০ সুকুমার সেন শ্রেষ্ঠ দুজন বাঙালি হিসাবে বেছে নিয়েছিলেন চৈতন্যদেব ও রবীন্দ্রনাথকে। চৈতন্যদেবের আবির্ভাব বাংলার সমাজ ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ছিল। চৈতন্যজীবনীকাররা তঁার আবির্ভাবের পূর্বসূত্র হিসাবে তৎকালীন বাংলার সামাজিক ও ঐতিহাসিক প্রেক্ষিতের কথা বলেছেন। সেই বক্তব্যের নির্দিষ্ট ভিত্তিমূল নিঃসন্দেহে অনস্বীকার্য। কোনোরকম দার্শনিক প্রতিলিপি বা প্রতিষ্ঠান নয়, চৈতন্যদেবের জীবনাচরণই এই কার্য-কারণ সূত্রকে বুঝতে সাহায্য করে। বৃন্দাবনদাসের চৈতন্যভাগবত-এ বর্ণিত সমাজচিত্র সেকথা বুঝিয়ে দেয়। ইন্ডিয়ান ফোরাম অব আর্ট অ্যান্ড কালচারের পক্ষ থেকে প্রকাশিত বহুরূপে মহাপ্রভু (২০২৩) চৈতন্যপাঠের এই প্রবেশ প্রক্রিয়া ও ধারাবাহিকতার সাক্ষ্য। চৈতন্যোত্তর কালে গৌড়ীয় বৈষ্ণবধর্ম ক্রমে যে স্বতন্ত্র মতবাদরূপে গড়ে উঠল সেই কৃতিত্ব অনেকটাই শ্রীনিবাস আচার্য, নরোত্তম ঠাকুর ও শ্যামানন্দের (এঁরা তিনজনই শ্রীজীব গোস্বামীর ছাত্র)। সেইসকল তাত্ত্বিক কাঠামো এবং সম্প্রদায়গত বিশেষত্ব আমাদের আলোচ্য সংকলনে একাধিক প্রবন্ধের বিষয়। পাশাপাশি ব্যক্তি চৈতন্যদেব এবং সাহিত্য, সংগীত ও অন্যান্য শিল্পকলায় তাঁর সতত সঞ্চরমান প্রভাব সম্পর্কেও বহু মূল্যবান প্রবন্ধের সন্ধান পাই। সংকলনের শুরুতে ‘প্রস্তাবনা’ ও ‘সম্পাদকের কথা’ অংশে এমন একটি গ্রন্থের প্রয়োজনীয়তার কথা জানানো হয়েছে। সর্বস্তরের মানুষের বোধগম্য হবে এমন সহজ-সরল ভাষায় চৈতন্যদেবের জীবনী ও তঁার কার্যাবলি সর্বসমক্ষে তুলে ধরা এই সংকলনের উদ্দেশ্য। এবং জনমানসে চৈতন্যদেব আজও কতখানি প্রাসঙ্গিক সেবিষয়েও সচেতন করতে চেয়েছেন সম্পাদক মহাশয়। সংকলন শুরু হয়েছে স্বামী বিবেকানন্দের সংক্ষিপ্ত একটি লেখা দিয়ে। বিবেকানন্দ সেখানে চৈতন্যদেবকে ভগবান ও আচার্য—দুই হিসাবে স্বীকার করেছেন। সকল হিন্দু আচার্যের তুলনায় চৈতন্যদেবই যে শ্রেষ্ঠ, সেকথাও বলেছেন। রাধাগোবিন্দ নাথ ‘গৌড়ীয় বৈষ্ণব-ধর্মের বিশেষত্ব’ প্রবন্ধে ছয়টি স্বতন্ত্র উপক্রমণিকার কথা বলেছেন। নিয়মিত বৃন্দাবনের গোস্বামীদের দ্বারা রচিত শাস্ত্র ও সাধনপদ্ধতি পাঠ, ভাগবত পাঠ, রস-কীর্তন প্রভৃতি বৈষ্ণব ধর্মপ্রচারের অন্যতম মাধ্যম ছিল। সেইসঙ্গে গোস্বামীদের পরম ভক্তিভাবের দ্বারাও সাধারণ মানুষ সহজেই আকৃষ্ট হতো। বিষ্ণুপুরের রাজা বীর হাম্বির শ্রীনিবাসের শিষ্যত্ব গ্রহণ করলে বৈষ্ণব সমাজে শ্রীনিবাসের মর্যাদা যেমন বেড়েছিল, বনবিষ্ণুপুরকে কেন্দ্র করে ধর্মপ্রচারের চেষ্টাও দৃঢ় হয়েছিল। মালভূম, ধলভূম, সিংহভূম, ভট্টভূম,...
Read the Digital Edition of Udbodhan online!
Subscribe Now to continue reading
₹100/year
Start Digital SubscriptionAlready Subscribed? Sign in