একটা দু’টো তিনটে নয়, শ’য়ে শ’য়ে বই,
হাজার হাজার বই লক্ষ লক্ষ সাদা পৃষ্ঠা,
কোটি কোটি কালো অক্ষর—
জন্ম থেকে এরাই আমার হাত ধরেছে,
তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে, ধাক্কা দিচ্ছে, একটা
অকূলের টানে আমি ছিটকে পড়ছি।
শেষ নেই, শুধু অশেষ, অসীম, অতল, অফুরন্ত।
একটা দুটো তিনটে নয়—শ’য়ে শ’য়ে বই
আমাকে এতদিন ধরে শুধু তৈরি করেছে।
তবু কত ফাঁক, কত অপূর্ণতা—
প্রতি মুহূর্তে কত তৃষ্ণার ধ্বনি,
তবু শূন্যতা আর কিছুতেই ভরাট হয় না।
আমার হাতে ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে একটা
অরূপলোকের চাবি—জন্ম থেকে সেই চাবি
নিয়ে ঠিকানার খোঁজে অবিশ্রান্ত ঘুরে বেড়াচ্ছি,
ধাক্কা দিচ্ছি দরজায় দরজায়, মাথা কুটছি
দেয়ালে দেয়ালে, তবু এখনও বাকি রয়ে গেল
কত জানলা কপাট অলিন্দ—
কত অক্ষর শব্দ আর বাক্যের মায়াজাল!
কী অনিঃশেষ এই গ্রন্থজগৎ,
পরিক্রমা শেষ হবে না কোনোদিন।