এতস্মাজ্জায়তে প্রাণো মনঃ সর্বেন্দ্রিয়াণি চ।
খং বায়ুর্জ্যোতিরাপঃ পৃথ্বী বিশ্বস্য ধারিণী।।১৪

[পূর্বানুবৃত্তি : আষাঢ় সংখ্যার পর] এতস্মাজ্জায়তে প্রাণো মনঃ সর্বেন্দ্রিয়াণি চ।খং বায়ুর্জ্যোতিরাপঃ পৃথ্বী বিশ্বস্য ধারিণী।।১৪ অন্বয়—এতস্মাৎ ([স্থূল, সূক্ষ্ম, কারণ শরীরের অধিষ্ঠান] এই [পরব্রহ্ম] থেকেই) প্রাণঃ ([পঞ্চবায়াত্মক] ক্রিয়াশক্তি) মনঃ ([জ্ঞানশক্ত্যাত্মক] অন্তঃকরণ) সর্বেন্দ্রিয়াণি (পঞ্চ কর্মেন্দ্রিয় এবং পঞ্চ জ্ঞানেন্দ্রিয়) খম্ (আকাশ) বায়ুঃ (নভস্বান্‌ বা পবন) জ্যোতিঃ (তেজ) আপঃ (জলসমূহ [পৃথিবী এবং পৃথিবীর নিচে অবস্থিত লোকগুলিতে জলের বাহুল্য অনুসারে জলের অম্ভঃ, মরীচি, মর, আপ প্রভৃতি বিভিন্ন সমার্থক শব্দ ব্যবহৃত হয়, সেকারণে এখানে ‘জল’ শব্দটিতে বহুবচন প্রয়োগ করা হয়েছে।]) বিশ্বস্য ধারিণী ([স্থাবরজঙ্গমাত্মক] জগতের ধারণকর্ত্রী) পৃথ্বী (পৃথিবী) জায়তে (উৎপন্ন হয় [ভাবটা এই যে, সবকিছুর উৎপত্তি পরব্রহ্ম থেকে; পরব্রহ্মই ‘সর্বকারণকারণম্‌’])। অনুবাদ ও বিবৃতি—এই পরব্রহ্ম থেকেই ক্রিয়াশক্তিস্বরূপ প্রাণ, জ্ঞানশক্তিস্বরূপ মন, সকল কর্মেন্দ্রিয় ও জ্ঞানেন্দ্রিয়, আকাশ, বায়ু, তেজ বা অগ্নি, জলসমূহ, স্থাবরজঙ্গমাত্মক বিশ্বের ধাত্রী পৃথিবী উৎপন্ন হয়। [প্রসঙ্গত স্মরণ করা যেতে পারে তৈত্তিরীয়োপনিষদ-এর উক্তি—“যতো বা ইমানি ভূতানি জায়ন্তে। যেন জাতানি জীবন্তি। যৎ প্রয়ন্ত্যভিসংবিশন্তি। তদ্বিজিজ্ঞাসস্ব। তদ্‌ব্রহ্মেতি।” (৩।১।১)] যৎপরং ব্রহ্ম সর্বাত্মা বিশ্বস্যায়তনং মহৎ।সূক্ষ্মাৎ সূক্ষ্মতরং নিত্যং তত্ত্বমেব ত্বমেব তৎ।।১৫ অন্বয়—[এবার ‘তত্ত্বমসি’—এই মহাবাক্যের তাৎপর্য বলা হচ্ছে] সর্বাত্মা (নিখিল জীবের হৃদয়স্থিত বা আত্মস্বরূপ) বিশ্বস্য (নিখিল বিশ্বের [কার্যকারণে অন্বিত নিখিল জগতের]) মহৎ (সর্বোত্তম, পরমোৎকৃষ্ট) আয়তনম্‌ (আধার) সূক্ষ্মাৎ সূক্ষ্মতরম্‌ (সূক্ষ্ম বা অণু থেকেও সূক্ষ্মতর বা অণুতর [অর্থাৎ যিনি মন, বুদ্ধি, ইন্দ্রিয়ের বিষয় নন]) নিত্যম্‌ (উৎপত্তিবিনাশরহিত) যৎ (প্রসিদ্ধ [বেদপ্রসিদ্ধ যে]) পরম্ ব্রহ্ম (সর্ববিধ উপাধি বা পরিচ্ছেদরহিত সর্বোত্তম ব্রহ্ম বা পরব্রহ্ম বা কারণব্রহ্ম) তৎ ত্বম্ এব (তা তুমিই) ত্বম্‌ এব তৎ (তুমিই সেই বিজ্ঞাতা, অন্য কেউ নয়) [তোমার অর্থাৎ জীবের মধ্যে কর্তৃত্ব ভোক্তৃত্ব দৃষ্ট হয়, সুতরাং জীব কখনো পরব্রহ্ম হতে পারে না—এই সংশয় দূরীকরণের জন্য শ্রুতি বলছেন ‘ত্বমেব তৎ’, অর্থাৎ অবিদ্যা-অজ্ঞানবশত তুমি যে নিজেকে কর্তা ভোক্তা বলে মনে করছ, তত্ত্বত এবং স্বরূপত সেই তুমি কর্তাও নও, ভোক্তাও নও, পরন্তু পরব্রহ্ম ব্যতীত অন্য কিছু নও।] অনুবাদ ও বিবৃতি—নিখিল জগতের (সকল স্থাবর-জঙ্গমাদির) অন্তরাত্মা, নিখিল বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ আধার বা ধারক (অথচ) অণু থেকেও...

Read the Digital Edition of Udbodhan online!

Subscribe Now to continue reading

₹100/year

Start Digital Subscription

Already Subscribed? Sign in