হৃৎপুণ্ডরীকং বিরজং বিশুদ্ধং
বিচিন্ত্য মধ্যে বিশদং বিশোকম্।
অচিন্ত্যমব্যক্তমনন্তরূপং
শিবং প্রশান্তমমৃতং ব্রহ্মযোনিম্।।৫
অনুবাদ ও তাৎপর্য বিবৃতি [পূর্বানুবৃত্তি : জ্যৈষ্ঠ সংখ্যার পর]।।২।। হৃৎপুণ্ডরীকং বিরজং বিশুদ্ধংবিচিন্ত্য মধ্যে বিশদং বিশোকম্।অচিন্ত্যমব্যক্তমনন্তরূপংশিবং প্রশান্তমমৃতং ব্রহ্মযোনিম্।।৫ অন্বয়—[আমার] হৃৎপুণ্ডরীকম্ (হৃদয়পদ্ম) বিরজম্ (রাগদ্বেষাদি-রহিত) বিশুদ্ধম্ (দুঃখাদি দোষ-রহিত, পবিত্র ও নির্মল) বিচিন্ত্য ([এইরকম] চিন্তা করে) মধ্যে (সেই হৃদয়পদ্মে) বিশদম্ (শুদ্ধ স্ফটিকের মতো নির্মল) বিশোকম্ (শোকরহিত আনন্দস্বরূপ) অচিন্ত্যম্ (ধ্যানাতীত, বস্তুত মনের অতীত) অব্যক্তম্ (বাক্য বা শব্দ দিয়ে অপ্রকাশযোগ্য) অনন্তরূপম্ (অসীম, দেশ-কাল-বস্তু প্রভৃতি সর্ববিধ পরিচ্ছেদশূন্য) শিবম্ (পরম মঙ্গলস্বরূপ) প্রশান্তম্ (অবিদ্যাদিদোষ-রহিত) [অতএব] অমৃতম্ (কালাদির দ্বারা অসম্পৃক্ত, অমরণধর্মী, মৃত্যুরহিত) ব্রহ্মযোনিম্ (ব্রহ্ম অর্থাৎ কার্যব্রহ্ম বা হিরণ্যগর্ভেরও যোনি অর্থাৎ কারণ অর্থাৎ জগতের সৃষ্টি, স্থিতি, প্রলয়ের কারণ যে পরব্রহ্ম) [তাঁকে]। অনুবাদ ও বিবৃতি—[গুরুকে ভক্তিবিনম্রচিত্তে প্রণাম করে] আমার হৃদয়পদ্ম রাগ-দ্বেষ-দুঃখবিরহিত ও পবিত্র—এইরকম চিন্তা করে সেই স্থানে শুদ্ধ স্ফটিকের মতো নির্মল, শোকরহিত, ধ্যানাতীত, বাক্য-মনের অগোচর, দেশকালবস্তু-পরিচ্ছেদশূন্য অর্থাৎ একমাত্র অখণ্ড সত্তা, মঙ্গলস্বরূপ, অবিদ্যাদিদোষ-রহিত, অতএব অমরণধর্মা, হিরণ্যগর্ভাদি কার্যব্রহ্মেরও সৃষ্টি-স্থিতি-লয়ের কারণ যিনি (তাঁকে)। তমাদিমধ্যান্তবিহীনমেকং*বিভুং চিদানন্দমরূপমদ্ভুতম্।উমাসহায়ং পরমেশ্বরং প্রভুংত্রিলোচনং নীলকণ্ঠং প্রশান্তম্।।৬ অন্বয়—[যিনি হিরণ্যগর্ভ বা কার্যব্রহ্মেরও সৃষ্টি-স্থিতি-লয়ের কারণ,] তম্ (সেই) আদিমধ্যান্তবিহীনম্ (স্থিতি-ভঙ্গ-প্ররোহ-রহিত অর্থাৎ আদি-মধ্য-অন্ত-রহিত) একম্ (অদ্বিতীয়, একমাত্র সত্তা) বিভুম্ (সর্বব্যাপী [একমাত্র অখণ্ড সত্তা]) চিদানন্দম্ (চেতন অর্থাৎ স্বয়ং প্রকাশ এবং নিরতিশয় আনন্দস্বরূপ) অরূপম্ (রূপহীন) অদ্ভুতম্ (আশ্চর্যজনক [কারণ, তাঁর মতো অন্য কেউ নেই যাতে তাঁকে উপমা সহযোগে বোঝানো যায়]) [এতক্ষণ যা বলা হলো, তা যদি সেই ধ্যাতব্য সত্তার নির্বিশেষ স্বরূপের কথা হয়ে থাকে তবে এখন সেই একই সত্তার সবিশেষ স্বরূপের কথা বলার অভিপ্রায়ে (বোধহয়) বলা হচ্ছে] উমাসহায়ম্ (উমা=ব্রহ্মবিদ্যা [যা মুমুক্ষু সাধককে কাম প্রভৃতি রিপু থেকে রক্ষা করে] উমাসহায়ম্ = সেই ব্রহ্মবিদ্যার দ্বারা প্রাপ্তব্য সত্তা অথবা [ভগবানের] অর্ধনারীশ্বর রূপ অথবা উমা [শিবের] বামভাগে অবস্থিত—এমন শিবগৌরী মূর্তিকে বা সশক্তিক ব্রহ্মকে) পরমেশ্বরম্ (ব্রহ্মাদিরও নিয়ন্তা পরমেশ্বরকে) প্রভুম্ ([অনুগ্রহ ও নিগ্রহে] সমর্থকে) ত্রিলোচনম্ (অগ্নি, চন্দ্র, সূর্য যাঁর তিনটি নয়ন [তাঁকে]) নীলকণ্ঠম্ ([তীব্র হলাহলে কণ্ঠ নীলবর্ণ বা কৃষ্ণবর্ণ ধারণ করেছে যাঁর—সেই] মহাদেবকে) প্রশান্তম্ (নিবাতনিষ্পন্দ প্রদীপের মতো যিনি স্থির [অবিদ্যাদির দ্বারা অসংস্পৃষ্ট হওয়ার কারণে স্থির, প্রসন্নবদন যিনি] তাঁকে…)।...
Read the Digital Edition of Udbodhan online!
Subscribe Now to continue reading
₹100/year
Start Digital SubscriptionAlready Subscribed? Sign in