শ্রীরামকৃষ্ণের অত্যন্ত কাছের মানুষ ছিলেন বলরাম বসু। কোনো এক বিশেষ মুহূর্তে ঠাকুর তাঁকে ‘আমার বলরাম’ আখ্যাও দিয়েছেন।
শ্রীরামকৃষ্ণের অত্যন্ত কাছের মানুষ ছিলেন বলরাম বসু। কোনো এক বিশেষ মুহূর্তে ঠাকুর তাঁকে ‘আমার বলরাম’ আখ্যাও দিয়েছেন। বলরাম বসুর জীবন এবং তাঁর প্রতি শ্রীরামকৃষ্ণের অপার করুণার কথা লিপিবদ্ধ আছে স্বামী গম্ভীরানন্দ লিখিত শ্রীরামকৃষ্ণ-ভক্তমালিকায়। বলরামবাবুর স্ত্রীর নাম কৃষ্ণভাবিনী, তাঁদের দুই মেয়ে (ভুবনমোহিনী ও কৃষ্ণময়ী) ও এক ছেলে (রামকৃষ্ণ)। ছোট মেয়ে কৃষ্ণময়ীর বিবাহ হয়েছিল বারুইপুরের জমিদার বিপিন রায়চৌধুরীর সঙ্গে। তাঁদের দশটি কন্যা ও একটিমাত্র পুত্র ছিল। জমিদারবািড়র সম্পত্তিরক্ষার খাতিরে বিপিন রায়চৌধুরী ঘোষণা করেছিলেন : “যদি একশোটি কন্যাসন্তানও জন্মায়, তবুও আমার একটি পুত্রসন্তান চাই।” কিন্তু হায়! বিধির বিধান ছিল একেবারে অন্য, সেকথায় পরে আসব। কৃষ্ণময়ীর প্রথম কন্যা রাধারানির জন্ম ১৮৯০-৯১ সাল নাগাদ; দ্বিতীয় কন্যা ঊষারানির জন্ম ১৮৯৪-৯৫ সাল নাগাদ; তৃতীয়—রত্নমালা; চতুর্থ—বিমলা; পঞ্চম—কমলার জন্ম ১৯০২ সালের ডিসেম্বরে; ষষ্ঠ—শিবানী; সপ্তম—আন্নাকালী। এই প্রথম সাতজন ছিলেন শ্রীশ্রীমায়ের আশ্রিত। অষ্টম কন্যা চিন্ময়ী ছিলেন রাজা মহারাজের আদরের ‘চিনি’, মহারাজই তাঁর ভার নিয়েছিলেন। নবম কন্যা মৃন্ময়ী। অনেক সাধ্য-সাধনা, তাবিজ-মাদুলি পরে অবশেষে জন্ম হলো একটি পুত্রসন্তানের। শিবের আশীর্বাদে সন্তানের জন্ম বলে নাম হলো শম্ভু, তবে গালভরা ভাল নামও রাখলেন। একাদশ সন্তান বা দশম মেয়ে পুতুলের জন্ম ১৯১৭ সাল নাগাদ। নবম ও দশম মেয়ে মন্ত্রদীক্ষা পেয়েছিলেন মহাপুরুষ মহারাজের কাছে। তিনজন কন্যা (রত্নমালা, বিমলা ও আন্নাকালী) অনেক আগে গত হন। আমার বাবা ছিলেন বিমলা বসুর পুত্র। বাবার নয়বছর বয়সে আমার ঠাকুরমা মারা যান, তাই বাকি সাতজন যাঁরা জীবিত ছিলেন অর্থাৎ বাবার মাসিদের আমরা নিজের ঠাকুরমা বলেই জানতাম। আমার বাবা ও তাঁর একমাত্র মামা শম্ভু প্রায় একবয়সি ছিলেন। তাই ‘মামাবাবু’ বলে ডাকলেও তাঁদের ভাই-ভাই সম্পর্কটাই ছিল বেশি। বাবা এবং তাঁর এক মাসতুতো ভাইয়ের একদিনে জন্ম হয়েছিল বলে স্বামী নির্বাণানন্দ তাঁদের নাম রেখেছিলেন ‘লব’ ও ‘কুশ’। শেষদিন অবধি মহারাজের অকৃত্রিম ভালবাসা বাবার ওপর দেখেছি। আমাদের বড় ঠাকুরমা রাধারানি বসু স্বামীজীর কথা খুব বলতেন। মেজ ঠাকুরমা যদিও স্বামীজীকে দেখেছিলেন এবং সঙ্গ করেছেন, কিন্তু তাঁর মুখে শ্রীশ্রীমায়ের কথাই...
Read the Digital Edition of Udbodhan online!
Subscribe Now to continue reading
₹100/year
Start Digital SubscriptionAlready Subscribed? Sign in