মানুষের মনে আঘাত দিয়ে কি কথা বলতে আছে? কথা সত্য হলেও অপ্রিয় কথা বলতে নেই। শেষে ওইরূপ স্বভাব হয়ে যায়। মানুষের চক্ষুলজ্জা ভেঙে
মানুষের মনে আঘাত দিয়ে কি কথা বলতে আছে? কথা সত্য হলেও অপ্রিয় কথা বলতে নেই। শেষে ওইরূপ স্বভাব হয়ে যায়। মানুষের চক্ষুলজ্জা ভেঙে গেলে আর মুখে কিছু আটকায় না।… ঠাকুর বলতেন : “একজন খেঁাড়াকে যদি জিজ্ঞেস করতে হয় তুমি খেঁাড়া হলে কি করে, তাহলে বলতে হয়, তোমার পা-টি অমন মোড়া হল কী করে?” আহা! তিনি আমার সঙ্গে কি ব্যবহারই করতেন! একদিনও মনে ব্যথা পাবার মতো কিছু বলেননি। কখনও ফুলটি দিয়েও ঘা দেননি।… কখনো আমাকে ‘তুমি’ ছাড়া ‘তুই’ বলেননি। কিসে ভাল থাকব তাই করেছেন। একদিন দুফুরবেলা খাওয়ার পর আমি যেমন যাই তেমনি গেছি, দেখি দরজাটি বন্ধ করা। আমি আস্তে আস্তে কপাটটি ঠেলে দিয়ে দেখি তিনি ঘুমচ্চেন। আমি কপাটটি দিয়ে চলে আসব, তিনি চোখ না চেয়েই বল্লেন : “কপাটটা দিয়ে দে।” আমি বল্লুম : “দিচ্চি।” তিনি আমার স্বর শুনেই বলচেন : “তোমাকে তুই বলে ফেলেচি, তোমাকে তুই বলে ফেলেচি, আমি মনে করেছিলুম লক্ষ্মী।” যেন কত অপরাধ করেচেন! —শ্রীমা সারদাদেবী
Read the Digital Edition of Udbodhan online!
Subscribe Now to continue reading
₹100/year
Start Digital SubscriptionAlready Subscribed? Sign in