বই পড়া’ নিয়ে এতভাবে লেখা হয়েছে আর এতভাবে লেখা যায় যে, তাই নিয়ে একটা অতি শুষ্ক ও বিরক্তিকর
‘বই পড়া’ নিয়ে এতভাবে লেখা হয়েছে আর এতভাবে লেখা যায় যে, তাই নিয়ে একটা অতি শুষ্ক ও বিরক্তিকর আস্ত বই লেখা যেতে পারে—যে-বই আমি নিজে প্রাণ গেলেও পড়তে চাইব না। কারণ, সে-বই পড়তে গিয়ে পাঠকের বই পড়া সম্বন্ধে সমস্ত আগ্রহ উধাও হয়ে যেতে পারে। আমি আশা করি, আমার এই লেখা পাঠককে সেই দিকে প্ররোচিত করবে না। তবে ব্যাপারটা আগেভাগে একটু পরিষ্কার করে নিতে বলি যে, এসম্বন্ধে সব লেখাই মূলত দুটো ধারা ধরে চলে; সেই দুটো ধারা পরস্পর-নিরপেক্ষ বা নিঃসম্পর্কিত নয়। এক, ‘বই কেন ভাল’ কথাটা থেকেই ‘বই পড়া কেন ভাল’ কথাটা বর্তায়, আর তার সূত্র ধরেই আসে গ্রন্থাগার বা লাইব্রেরির মহিমা, বইমেলার মহিমা, মানুষের মধ্যে বা ছেলেমেয়েদের মধ্যে বই পড়া কমে যাচ্ছে বলে উদ্বেগ এবং বই পড়ার অভ্যাস ফিরিয়ে আনার জন্য নানা রকমের প্রকল্প। এ সবেরই মূল বিশ্বাসের ভিত্তি হলো মানবসভ্যতায় বই একটা খুব ভাল অর্জন, বই পড়া একটা সামাজিক আর ব্যক্তিগতভাবে উপকারী ব্যসন। কাজেই সকলেরই বই পড়া উচিত। আর এই নিয়ে লেখারও নানা ধরন আছে। এক হলো—এসম্বন্ধে দেশি-বিদেশি নানা মহাপুরুষের বাণী উদ্ধৃত করে বইয়ের মহিমা প্রতিষ্ঠা। আমার কাছেও নানা কোটেশনের বই আছে, তা থেকে উদ্ধার করা কঠিন কাজ নয়—‘বই’, ‘লাইব্রেরি’, ‘পড়া’ ইত্যাদি হেডিঙে দেখলেই হবে। আজকাল লাইব্রেরিতে যেতে পারি না, কিন্তু ইন্টারনেট হাতের কাছে পৃথিবীর জ্ঞানভাণ্ডার জমিয়ে রেখেছে, সেখান থেকেও প্রচুর কোটেশন তুলতে পারি এবিষয়ে। বই এবং বই পড়া যে একটা ভাল কাজ— এটা সভ্যতার ইতিহাস থেকে উঠে-আসা একটি মানবিক সত্য। ‘মানবিক’, কারণ মানুষই একমাত্র বই পড়তে পারে। বই ভাষায় তৈরি, একমাত্র মানুষেরই ভাষা আছে, আর সেই ভাষায় চিন্তিত, কল্পিত, কথিত যাবতীয় সামগ্রী এখন মুদ্রিত উপায়ে দুই মলাটের মধ্যে লভ্য। অন্যান্য উপায়েও তা আমাদের কাছে পৌঁছায়, কিন্তু সেসম্বন্ধে পরে বলার সুযোগ খুঁজে নেব। তবে এই পার্শ্বিক মন্তব্য জুড়ে দিতেই হবে যে, বই পড়া খুব ভাল ব্যাপার তো বটেই, কিন্তু...
Read the Digital Edition of Udbodhan online!
Subscribe Now to continue reading
₹100/year
Start Digital SubscriptionAlready Subscribed? Sign in