নদীর গতিটা খানিক জীবনের মতো। আটপৌরে ছন্দে তার কেটে যায় সারাটি বেলা। আকাশের পানে আধো চোখে সে

নদীর গতিটা খানিক জীবনের মতো। আটপৌরে ছন্দে তার কেটে যায় সারাটি বেলা। আকাশের পানে আধো চোখে সে চেয়ে রয় অনিমিখ। রাত যায়, সুয্যু ওঠে, মেঘে আবার ঢাকা পড়ে। কত রকমের ছবি সব। মুখটি বুজে নদী তা মনে গেঁথে রাখে; কোনোটা বা ভুলেও যায়। পাখির কাকলিতে কখনো মনে পড়ে হারিয়ে যাওয়া দিনের কত কত কথা। সোনা-রোদে মাখা রূপকথার মতো স্বাদ লাগে যেন। আমাদের ছোট নদীটির জীবনে তেমন কোনো চাহিদা নেই। শুধু বর্ষায় একবার যৌবনবতী হয় সে। দু-পাড় জুড়ে তখন তার শ্যামল শোভার ঢল নামে। রূপের জোয়ার তার শরীর ছাড়িয়ে উঠে ধানখেতের আলপথে জলখেলা জুড়ে দেয়। তার তখন কী যে আনন্দ! কী যে আনন্দ! কিন্তু ঐ শুধু বর্ষাটুকুই। শরৎ নামতে শুরু করল কী তার সেই আবেগ সংযত হয়ে এল। বর্ষার রেশখানিকে স্মৃতি করে সে সিন্দুকে তুলে রাখে বছরভর। সেই গৌরবেই বাকি দিনগুলো এগিয়ে চলে সুখের আঁকে- বাঁকে। তখন হাঁটুজলে গোরু আর গাড়ি পার করিয়েই তার পরিচিতি। বৈশাখের রোদ্দুরে দূরের বালি চিকচিক করে ওঠে আষাঢ়ের অপেক্ষায়।  

Read the Digital Edition of Udbodhan online!

Subscribe Now to continue reading

₹100/year

Start Digital Subscription

Already Subscribed? Sign in