মানুষের দুর্লভ জন্ম প্রসঙ্গে শঙ্করাচার্য-কথিত মনুষ্যত্ব, মুমু‌ক্ষত্ব ও মহাপুরুষের আশ্রয়গ্রহণ বাস্তবিক

উদ্বোধন-এর গত জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ সংখ্যায় অরুণাভ দত্তের লেখা ‘উদ্বোধন-এর ১২৫ বর্ষপূর্তিতে আনন্দ যাপন’ বর্ণনার ছটায় উদ্ভাসিত। অনুষ্ঠানে ব্যক্তিগতভাবে উপস্থিত না হয়েও লেখকের প্রতিটি পর্বের সুললিত বর্ণনা অজানতেই যেন আমাকে অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছে দিল! স্বামী শুদ্ধিদানন্দজী তাঁর ভাষণে বলেছেন—মানুষের দুর্লভ জন্ম প্রসঙ্গে শঙ্করাচার্য-কথিত মনুষ্যত্ব, মুমু‌ক্ষত্ব ও মহাপুরুষের আশ্রয়গ্রহণ বাস্তবিক ধ্রুবতারার মতো সত্য। সর্বোপরি ‘খণ্ডন-ভব-বন্ধন’ যেন সারাৎসার। স্বামী তত্ত্বসারানন্দজী বলেছেন : “নিজে সুস্থ মানসিকতার অধিকারী না হলে অপরের মধ্যে সুস্থতা সঞ্চারিত করা যায় না, তাই সকলের সঙ্গে সুস্থ সম্পর্ক বজায় রাখার প্রাথমিক শর্তই হলো—আগে নিজে ভাল হও।” চলমান জীবনে দিগ্ভ্রান্ত মানবের কাছে এ এক মূল্যবান পরামর্শ। মনোবিজ্ঞানের অধ্যাপিকা জয়ন্তী বসুর ‘অবসর জীবন কাটানোর উপায়’ প্রসঙ্গে পর্যালোচনাটি ভারি সুন্দর এবং প্রাসঙ্গিক। জীবনের উপান্তে আসার পূর্বেই অবসর কাটানো কীভাবে হবে—এব্যাপারে পূর্বপ্রস্তুতির কথা তিনি ব্যক্ত করেছেন, যা অবশ্যই অনুসরণ করা বিধেয়। পরিশেষে স্বামী কৃষ্ণনাথানন্দজীর কথার সূত্র ধরে আরো একবার বলে উঠি—বাউলের জাত হয় না, আরো একটা গঙ্গা হয় না, ‘আনন্দ যাপনের কোনো সমাপ্তি হয় না’। চন্দন বন্দ্যোপাধ্যায়আলমবাজার, কলকাতা-৩৫

Read the Digital Edition of Udbodhan online!

Subscribe Now to continue reading

₹100/year

Start Digital Subscription

Already Subscribed? Sign in