আমি থিয়েটার-চর্চার পাশাপাশি রুজির জন্য সিনেমার নেপথ্যে নানা কর্মব্যস্ততার মধ্যেও সাহিত্যচর্চা, পড়াশোনা ও লেখালেখি চালিয়ে যাই। হঠাৎই উদ্বোধন পত্রিকার গত বৈশাখ ১৪৩০ সংখ্যা হাতে আসায় লেখাগুলো পড়তে গিয়ে বিশেষ করে ফণিভূষণ মণ্ডলের ‘আধুনিক খনপালা বিষয়ক প্রস্তাব’
আমি থিয়েটার-চর্চার পাশাপাশি রুজির জন্য সিনেমার নেপথ্যে নানা কর্মব্যস্ততার মধ্যেও সাহিত্যচর্চা, পড়াশোনা ও লেখালেখি চালিয়ে যাই। হঠাৎই উদ্বোধন পত্রিকার গত বৈশাখ ১৪৩০ সংখ্যা হাতে আসায় লেখাগুলো পড়তে গিয়ে বিশেষ করে ফণিভূষণ মণ্ডলের ‘আধুনিক খনপালা বিষয়ক প্রস্তাব’ লেখাটা পড়ে আমার খুব ভাল লাগল। মূলত দুটি কারণে তাঁর লেখা পড়তে ভাল লাগে—এক, ইতিপূর্বে লেখকের লোকনাট্যের ওপর এই ধরনের বেশ কয়েকটি লেখা বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় পড়েছি। বিশেষ করে মনে পড়ে ‘চদর-বদর পালা’র প্রবীণ শিল্পী দমন মুর্মু, গম্ভীরা-শিল্পী মটরবাবু, মহিলা খনশিল্পী আকুলবালার ওপর লেখাগুলো—যেখানে লেখক আমাদের অজানা বা অতি কম আলোচিত লোকনাট্যের বিভিন্ন আঙ্গিকের লোকশিল্পীদের শিল্পচর্চাকে তথ্যপ্রমাণ সহকারে সহজ গদ্যে তুলে ধরেছেন। দুই, আলোচ্য রচনাটিতে তিনি খনের প্রচলিত ইতিহাসকে যথাযোগ্য মর্যাদা দিয়েই সম্পূর্ণ নতুন একটা দৃষ্টিকোণ থেকে আধুনিক খনপালার প্রস্তাব পেশ করেছেন। আরো আশ্চর্য হয়েছি, আধুনিক খনের পূর্বপ্রস্তুতি হিসাবে তিনি ‘কাল্পনিক খন’ ও তার স্রষ্টা মাধাই মহন্তের কথা জানাতে ভোলেননি। একই সাথে তিনি দেখিয়েছেন, কীভাবে খুশি সরকার খনের ঐতিহ্য থেকে সরে এসে সমাজেতিহাসের বৃহত্তর পটভূমিতে ঐতিহাসিক আন্দোলনের পাশাপাশি মানুষের অধিকার-রক্ষার সংগ্রামকে নতুন আঙ্গিকে উপস্থাপন করেছেন এবং হয়ে উঠেছেন আধুনিক খনপালার স্রষ্টা। আশা রাখি লেখক তাঁর এই ছোট্ট প্রবন্ধের ভাববীজটিকে পরবর্তী সময়ে সম্পূর্ণ গ্রন্থরূপে প্রকাশ করবেন—যা হয়তো ভবিষ্যতের উৎসাহী গবেষকদের নতুন চিন্তার ইন্ধন জোগাবে। সর্বোপরি, কৃতজ্ঞতা জানাই উদ্বোধন পত্রিকার সম্পাদক মহারাজকে, কেননা এই ধরনের নতুন বিষয়ের ওপর লেখা প্রকাশ করেছেন; এবং আগামী দিনে আরো এরকম লেখা প্রকাশিত হবে—সেই আকাঙ্ক্ষাও প্রকাশ করি। সত্যজিৎ রায়আন্ধেরী পশ্চিম, মুম্বাই, মহারাষ্ট্র-৪০০০৬১ উদ্বোধন পত্রিকার গত বৈশাখ ১৪৩০ সংখ্যায় ফণিভূষণ মণ্ডলের ‘আধুনিক খনপালা বিষয়ক প্রস্তাব’ পড়ে সমৃদ্ধ হলাম। মালদা জেলার বাসিন্দা হওয়ার সুবাদে আমার বেশ কয়েকবার খনপালা দেখার সৌভাগ্য হয়েছে। কিন্তু খনপালা সম্পর্কে এভাবেও যে ভাবা যায় তা লেখাটা পড়েই জানতে পারলাম। যেদিকটা আমাকে সবচেয়ে আকৃষ্ট করেছে তা হলো—আধুনিককালে খনপালাকে কীভাবে টিকিয়ে রাখা যায়, কীভাবে সমাজে প্রাসঙ্গিক রাখা যায় তার একটা সুন্দর প্রচেষ্টা...
Read the Digital Edition of Udbodhan online!
Subscribe Now to continue reading
₹100/year
Start Digital SubscriptionAlready Subscribed? Sign in