যখন শঙ্করাচার্যের কৃত এই শ্লোক প্রথম পড়িয়াছিলাম, কি এক অদ্ভুত আনন্দ ও আলোকের অবতারণা

“জীবন্মুক্তিসুখপ্রাপ্তিহেতবে জন্মধারিতম্। আত্মনা নিত্যমুক্তেন ন তু সংসারকাম্যয়া।।” যখন শঙ্করাচার্যের কৃত এই শ্লোক প্রথম পড়িয়াছিলাম, কি এক অদ্ভুত আনন্দ ও আলোকের অবতারণা তখন হইয়াছিল, তাহা আর আপনাকে কি জানাইব। যেন জীবনের ইতিকর্তব্যতা তখনই জাজ্বল্যমান হইয়া উঠিল এবং সকল সমস্যার সম্পূর্ণ সমাধান আপনা হইতেই হইয়া গেল। তখন বুঝিলাম যে, মনুষ্যদেহধারণের উদ্দেশ্য আর কিছুই নহে—জীবন্মুক্তিসুখপ্রাপ্তিই ইহার একমাত্র প্রয়োজন। বাস্তবিকই নিত্যমুক্ত আত্মা আর কোন কারণেই এই দেহধারণ করিতে পারেন না। দেহধারণ করিয়াও যে তিনি মুক্ত এই ভাব লাভ করিবার জন্যই তাঁহার দেহধারণ। সেই নিত্য মুক্ত আত্মা আপনি, আপনার ঐরূপ অসঙ্গত কথা শোভা পায় না। উন্মুক্ত সূর্যকে দর্শন করিতে শক্তি না হইতে পারে, কিন্তু প্রতিবিম্বিত সূর্য দর্শন করিতে কষ্ট হয় না। সেইরূপ সচ্চিদানন্দ ব্রহ্মকে অহংরূপে নিশ্চয় করা দুরূহ হইলেও আমি তাঁহারই (অংশ বা সন্তান) ইত্যাদি, ইহা নিশ্চয় করিতে হইবে। আমি তাঁহা হইতে স্বতন্ত্র একথা কিছুতেই চিন্তা করা উচিত নহে এবং তাহা শ্রেয়ঃপ্রদও নয়। আমি যেমনই হই না কেন, আমি তাঁর—আর কাহারও নই। —স্বামী তুরীয়ানন্দ

Read the Digital Edition of Udbodhan online!

Subscribe Now to continue reading

₹100/year

Start Digital Subscription

Already Subscribed? Sign in