সমস্ত পৃথিবী জুড়ে পারস্পরিক যোগাযোগের এক বা একাধিক যে-সেতু তৈরি হয়েছে, বৈজ্ঞানিক সাফল্যে তার অন্যতম সূত্র হলো রেডিও। আমাদের
সমস্ত পৃথিবী জুড়ে পারস্পরিক যোগাযোগের এক বা একাধিক যে-সেতু তৈরি হয়েছে, বৈজ্ঞানিক সাফল্যে তার অন্যতম সূত্র হলো রেডিও। আমাদের দেশে টেলিভিশনের ব্যাপক বিস্তারের আগে পর্যন্ত মানুষের মনে রেডিওর প্রভাব ছিল সর্বোচ্চ। সমাজ-সংস্কৃতির সঙ্গে এর সম্পর্ক ছিল গভীর। তাই কলকাতা বেতারের ক্রমবিকাশের সঙ্গে মিশে আছে এই বাংলার সমাজ-সংস্কৃতির ইতিহাসও। এর জন্য অবশ্য প্রয়োজন কলকাতা বেতারের একটি পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস রচনার। ভবিষ্যতে সে-ইতিহাস রচিত হবে নিশ্চয়। শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়, গোটা ভারতবর্ষের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ইতিহাস বস্তুতপক্ষে সংযুক্ত হয়ে আছে বেতারের ইতিহাসের সঙ্গে। ফলে কোনো কোনো ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিকতাও সম্পৃক্ত হয়ে গেছে এর সঙ্গে। কারণ, সূচনামুহূর্তে ব্রিটিশ শাসকের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ অবদান এতে যুক্ত ছিল। ফলে বিকাশে, সংক্ষোভে, সংযোগে, পরিকল্পনায় ছায়া পড়েছিল আন্তর্জাতিকতার। আবার অন্যদিকে স্বাধীনতার সঙ্গে দেশবিভাগের বিপর্যয়ও ব্যাপকভাবে রেডিওর সমস্ত অনুষ্ঠানকে নিয়ন্ত্রণ করছিল। এভাবেই কলকাতা বেতারকেন্দ্র বা আকাশবাণী নানান দিক থেকে সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ওঠাপড়ার এক গুরুত্বপূর্ণ দলিল হয়ে উঠেছে। ব্রিটিশ-শাসিত ভারতবর্ষে সম্প্রচারের ইতিকথা ব্রিটেনে ১৯২০ থেকে ১৯২৬-এর মধ্যবর্তী সময়ে সম্প্রচার মাধ্যমের বিকাশের জন্য যে তৎপরতা ছিল, ভারতে তেমন ছিল না। ১৯২৬ সালের সেপ্টেম্বরে যদিও একটি প্রাইভেট কোম্পানি রেজিস্ট্রিকৃত হয়েছিল এবং ১৯২৭-এর অগস্ট মাসে তা বম্বে থেকে সম্প্রচার করতেও শুরু করেছিল, তবু তাদের তৎপরতা অনেক কম ছিল। তাই অচিরেই গভীর অর্থসংকটে তা নিলামে ওঠে। এর আগে ১৯২৩ সালে দুজন পারসি উদ্যোগপতি—আর. এম. চিনয় (Chinoy) এবং সুলতান চিনয় একটি কোম্পানি খোলেন ‘ইন্ডিয়ান রেডিও টেলিগ্রাম কোং’ নাম দিয়ে। মার্কিন কোম্পানির কাছ থেকে ভারতে ব্যবহারের জন্য প্রযুক্তি জোগাড় করতেও তাঁরা সক্ষম হন এবং ১৯২৫ সালে পুনেতে ট্রান্সমিটার তৈরির কাজ শুরু করে দেন। আইন অনুসারে কোম্পানিটি রেজিস্ট্রার্ড হয় ১৯২৪-এর ২৫ জুলাই। এই কোম্পানিতে মার্কিন কোম্পানির লগ্নি পুঁজি ছিল দুই-তৃতীয়াংশ। এদিকে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য স্যার আশুতোষ মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তখন নতুন গবেষণা করছেন সি. ভি. রমন, মেঘনাদ সাহা, সত্যেন্দ্রনাথ বসু এবং শিশিরকুমার মিত্র। শিশিরকুমার প্যারিসে গিয়ে প্রথম উদ্ধার করলেন...
Read the Digital Edition of Udbodhan online!
Subscribe Now to continue reading
₹100/year
Start Digital SubscriptionAlready Subscribed? Sign in