যুগে যুগে মানব তার অন্তরের অশেষ সত্তাকে বিভিন্ন অবলম্বনে অন্বেষণ করে এসেছে। একীভূত
যুগে যুগে মানব তার অন্তরের অশেষ সত্তাকে বিভিন্ন অবলম্বনে অন্বেষণ করে এসেছে। একীভূত উপাসনার সুদীর্ঘ অভ্যাসে সেগুলি তীর্থের মহিমায় মন্দ্রিত। নিখিল-প্রাণের সঘন প্রার্থনা আবহমান কাল ধরে স্থান-মাহাত্ম্যের যে আধ্যাত্মিক আবেশ বুনেছে, তা তাপিতকে শান্ত করে আনন্দের প্লাবন জাগায়। তাই তো আজও কাশী-কনখল-প্রয়াগের দুর্নিবার আকর্ষণ! তবে শুধু তীর্থদর্শনই নয়, তার সঙ্গে যুক্ত কত না ধর্মীয় রীতি! কোথাও পূজার মাহাত্ম্য বেশি, তো কোথাও তর্পণের। আবার অন্যত্র স্নানই মহাপর্ব। কুম্ভস্নান তেমনই লক্ষ লক্ষ জনের সম্মিলিত সমাবেশ। কুম্ভপর্বের অবগাহন ভোরের আরক্তিম অরুণরাগ যেন—অতি শুদ্ধ, পরম স্নিগ্ধ। সেই অভিসিঞ্চনে উৎসারিত হয় অন্তরের অমৃতধারা। সচেতন হয় ভিতরের অমর সত্তা। অন্যের কল্যাণে এই আনন্দ নিবেদিত। আজকের প্রার্থনায় অমর হতে আগামী এগিয়ে আসে। সেই আবেশই তীর্থকে জাগিয়ে রাখে যুগে যুগে, কুম্ভকে পূর্ণ রাখে ভিতরে বাইরে।
Read the Digital Edition of Udbodhan online!
Subscribe Now to continue reading
₹100/year
Start Digital SubscriptionAlready Subscribed? Sign in