জন্মের পর জীব আপন প্রকৃতির বশে কর্তব্যপথ চয়ন করে নেয়। শ্রীরামকৃষ্ণ আপামরে শিখিয়েছেন দেহধারণের সার্থকতা কোথায়।
জন্মের পর জীব আপন প্রকৃতির বশে কর্তব্যপথ চয়ন করে নেয়। শ্রীরামকৃষ্ণ আপামরে শিখিয়েছেন দেহধারণের সার্থকতা কোথায়। ভগবানলাভই এই জীবনের একমাত্র উদ্দেশ্য। ভগবানকে পেলে দেহের সীমা পেরিয়ে দেহাতীত সত্তায় জীবাত্মা বিলীন হয়ে যায়। সেই অবস্থাকেই সাধক ‘মুক্তি’ বলে। যদিও ভৌত স্থান-কালের ওপর মুক্তিলাভ নির্ভর করে না, তবু কাশী এমন এক ভূমি যেখানে দেহান্ত হলে ইতর প্রাণীটিও বিমুক্ত হয়। কাশীর সমান বিমুক্তির ক্ষেত্র আর নেই—তাই যেন অবিমুক্ত ক্ষেত্র। এখানে আশুতোষ শিব তাঁর শক্তিরূপা জগন্মাতার সহায়তায় সাধু-পতিত নির্বিশেষে প্রতিটি জীবকে সমস্ত সংস্কারজাল থেকে উদ্ধার করে আত্মজ্ঞান দিয়ে থাকেন। বিভিন্ন পুরাণ ও উপনিষদে তার উল্লেখ মেলে। মণিকর্ণিকার শ্মশানঘাটে শ্রীরামকৃষ্ণ স্বয়ং দিব্যনেত্রে দর্শন করে সেই শাস্ত্রবাক্যকে সপ্রমাণ করেছিলেন। মাদের সাধারণ চোখে দেখা মণিকর্ণিকায় লেলিহান চিতাগ্নির একটি ঝলকে এবারের প্রচ্ছদপট আলোকময়। কোনো এক ভাগ্যবানের মুক্তিলাভে সমগ্র কাশী উৎসুক আবেগে উদ্ভাসিতা। ভবপারের নৌকার নিশ্চিন্ত পালে জেগেছে আমন্থর গতি।
Read the Digital Edition of Udbodhan online!
Subscribe Now to continue reading
₹100/year
Start Digital SubscriptionAlready Subscribed? Sign in