কালীপুজোর দিন দ্বিপ্রহরে শীতলামাতার পুজো হয়। রাতে মা কালীর বিশেষ ভোগ,
দূরত্ব বেশি নয়। হাওড়া থেকে দেউলটি স্টেশনে নেমে হেঁটে বা অটো করে কথাশিল্পী শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ির সামান্য দূরে ঘোষালদের বাড়ি। তাঁর দিদি অনিলাদেবীর বিবাহ হয়েছিল গোবিন্দপুর গ্রামের ঘোষাল পরিবারে। আনুমানিক প্রায় ৪০০ বছর আগে সেখানে শুরু হয়েছিল কালীপুজো। বাড়ির সামনেই বহমান রূপনারায়ণ নদ। দুর্গাপূজার পর বিজয়াদশমীতে মা দক্ষিণাকালীকে আবাহন করে মন্ত্রপূত মাটি তুলে ও ঘটে আম্রপল্লব দিয়ে শাঁখ, ঘণ্টা, কাঁসর বাজিয়ে বাড়িতে আনা হয়। ঐ পবিত্র মাটি মূর্তি তৈরির সময় দেওয়া হয়। পুজোর বিভিন্ন কাজের দায়িত্বে যারা থাকে, তারা বংশ-পরম্পরায় এই কাজ করে আসছে নিষ্ঠা সহকারে। আগে বড় প্রদীপ জ্বেলে, মশাল জ্বালিয়ে পুজো হতো। তারপর এল হ্যাজাক ও কেরোসিনের আলো। পুজো চিরাচরিত পদ্ধতিতেই হয়। আগে পাঁঠাবলি হলেও এখন তা বন্ধ হয়ে গেছে। কালীপুজোর দিন দ্বিপ্রহরে শীতলামাতার পুজো হয়। রাতে মা কালীর বিশেষ ভোগ, হোম ইত্যাদি সেরে পুজো শেষ হতে ভোর হয়ে যায়। পরিবারের যে যেখানেই থাকুক, সকলে এই একটা দিন ঘোষালবাড়িতে একত্রিত হয়। পুজোর পরের দিন হয় দেবীর বিসর্জন। জয়ন্তকুমার ঘোষালকলকাতা
Read the Digital Edition of Udbodhan online!
Subscribe Now to continue reading
₹120/year
Start Digital SubscriptionAlready Subscribed? Sign in
