১৯০১ সালের শেষের দিকে জয়রামবাটী গিয়ে শ্রীশ্রীমা প্রায় দুবছর অবস্থান করেন। তখনো

১৯০১ সালের শেষের দিকে জয়রামবাটী গিয়ে শ্রীশ্রীমা প্রায় দুবছর অবস্থান করেন। তখনো কলকাতায় মায়ের স্থায়ী আবাস নির্মিত হয়নি। শ্রীশ্রীমায়ের কলকাতায় অবস্থানের জন্য স্বামী সারদানন্দজী বিভিন্ন ভাড়াবাড়ি ও ভক্তগৃহে ব্যবস্থা করে রাখতেন। এমনই একবার মায়ের কলকাতায় আসা স্থির হলে স্বামী সারদানন্দজী মায়ের বসবাসের জন্য ২/১ বাগবাজার স্ট্রিটের বাড়ি (‘নীলমণি শান্তিধাম’) ভাড়া করেন এবং ১৩১০ বঙ্গাব্দের মাঘ মাসে (১৯০৪-এর ১৪ ফেব্রুয়ারি) কলকাতায় এসে মা এখানে ওঠেন। তাঁকে কলকাতায় নিয়ে আসার জন্য স্বামী সারদানন্দজী, স্বামী বিরজানন্দ, যোগীন-মা ও গোলাপ-মা বর্ধমানের পথে জয়রামবাটী গিয়েছিলেন।১ ট্রেনে বর্ধমানে এসে তাঁরা একরাতের জন্য উঠেছিলেন স্বামীজীর শিষ্য শরচ্চন্দ্র চক্রবর্তীর বাড়িতে। তিনি তখন বর্ধমানে পোস্টমাস্টার হিসাবে কর্মরত।২ ব্রহ্মচারী অ‌ক্ষয়চৈতন্যউল্লেখ করেছেন : “১৩১০ সালের মাঘ মাসে শ্রীশ্রীমা কলিকাতার পথে বর্ধমানে স্বামীজীর শিষ্য শরচ্চন্দ্র চক্রবর্তীর বাসায় দুইদিন বাস করেন এবং ৺সর্বমঙ্গলা, অষ্টোত্তরশত শিব ও দ‌ক্ষিণ মশানের কালী দর্শন করিতে যান। দ‌ক্ষিণ মশানে কালীমূর্তির বিপরীত দিকে অবস্থিত ভৈরবের মূর্তির মা প্রশংসা করেন।”৩ বিবেকানন্দ-শিষ্য শরচ্চন্দ্রের জীবনী ও রচনাবলী গ্রন্থে এর উল্লেখ আছে। ঐ গ্রন্থে আরো আছে—“১৯০৪ থেকে ১৯০৮ খ্রিঃ পর্যন্ত শরচ্চন্দ্র বর্ধমানে কর্মরত ছিলেন। সেখানে শ্রীশ্রীমা শরচ্চন্দ্রের আতিথ্য গ্রহণ করে তাঁকে ধন্য করেছিলেন।… অপ্রত্যাশিতভাবে করুণাময়ী মাকে এইভাবে কাছে পেয়ে বাড়ির সকলেই আনন্দ বিহ্বল হয়ে পড়েছিল ও বাড়ি পুণ্যতীর্থে পরিণত হয়েছিল। এই সময় শরচ্চন্দ্র বিভিন্ন স্থানে রামকৃষ্ণ ভাবপ্রচার ও স্বামীজীর কাজে সক্রিয়ভাবে সাধ্যমত যোগদান করেন।”৪ শরচ্চন্দ্র চক্রবর্তীর পৌত্র অভিজিৎ চক্রবর্তী (ব্রহ্মপদ চক্রবর্তীর পুত্র) জানিয়েছেন, শরচ্চন্দ্র যখন বর্ধমান পোস্ট অফিসে বদলি হয়ে যান সেই সময় শ্রীশ্রীমা কলকাতায় আসার পথে তাঁদের বাড়িতে দু-তিনদিন অবস্থান করেছিলেন। শরচ্চন্দ্র ও তাঁর স্ত্রী মো‌ক্ষদায়িনী দেবী মায়ের এই অযাচিত কৃপা পেয়ে কৃতার্থ বোধ করেন। শরচ্চন্দ্র তাঁর পরিচিত এক ব্যক্তির সাহায্য নিয়ে গোযানে মা ও তাঁর সঙ্গীদের বর্ধমানের সর্বমঙ্গলা, একশো আট শিবমন্দির ও বিদ্যাসুন্দর কালী দর্শনের ব্যবস্থা করেন। মা খুশি হয়ে তাঁকে আশীর্বাদ করেছিলেন।৫ দুর্ভাগ্যবশত, মাতৃস্মৃতিধন্য শরচ্চন্দ্র চক্রবর্তীর বাড়িটির সন্ধান পাওয়া যায়নি। তবে...

Read the Digital Edition of Udbodhan online!

Subscribe Now to continue reading

₹120/year

Start Digital Subscription

Already Subscribed? Sign in