দেখ, মঠে মায়ের পুজো যেমন হয় তেমনটি আর কোথাও হয় না। এখানকার পুজো ঠিক ঠিক

দেখ, মঠে মায়ের পুজো যেমন হয় তেমনটি আর কোথাও হয় না। এখানকার পুজো ঠিক ঠিক ভক্তির পুজো। আমাদের কোনো কামনা নেই, আমরা কেবল মায়ের প্রীতির জন্য এই পুজো করি। আমাদের একমাত্র প্রার্থনা—“মা, তুমি প্রসন্না হয়ে আমাদের ভক্তি-বিশ্বাস দাও আর সমগ্র জগতের কল্যাণ কর।”… এখানে মায়ের যেমন প্রকাশ তেমনটি আর কোথাও পাবে না, বাবা, ঠিক বলছি। লোকে লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করতে পারে, কিন্তু এমন ভক্তি-বিশ্বাস পাবে কোথাও? আমাদের হলো সাত্ত্বিক পুজো। আহা, অনঙ্গ খুব প্রাণ দিয়ে এ-সব পূজাদি করে। শাস্ত্রে আছে—প্রতিমা সুন্দর, পূজক ভক্তিমান এবং যিনি পুজো করাচ্ছেন, তিনি শুদ্ধসত্ত্ব ও নিষ্কাম হলে তবে সেই পুজোয় ভগবানের বিশেষ আবির্ভাব হয়। এখানে সবই আছে, তাই মায়ের এমন আবির্ভাব। ধ্যান করা খুব ভাল—রামকৃষ্ণ নাম করলেই হৃদয়ে চৈতন্য হবে, মা জাগবেন—এই রামকৃষ্ণ নাম করলেই এখন মা জাগেন। নাম করবে, ঐ নাম করতে করতে ধ্যান করলে তোমার ব্রহ্মজ্ঞান হয়ে যাবে। তোমরা যদি আমার কথা শোন, তবে এই রামকৃষ্ণরূপ জ্ঞানাগ্নি জ্বেলে মনে মনে ঠাকুরকে মনপ্রাণ সমর্পণ কর। ধ্যান-জপ না করলে কিছুই কিছু নয়। এই আমার মনের কথা—তারপর তোমরা যা ইচ্ছে কর। ভিড়ভাড়ে জীবনের আসল উদ্দেশ্যটি হারিও না—ভগবান লাভই জীবনের উদ্দেশ্য—গড্ডলিকা প্রবাহে চলে একটু সুখে জীবন কাটালে চলবে না। প্রাণের কথা বলচি—ধ্যান-জপ ভগবানে বিশ্বাস ভক্তি চাই। মন জুয়োচোর—কাল প্রবল—কি আর করবে বল। —স্বামী শিবানন্দ

Read the Digital Edition of Udbodhan online!

Subscribe Now to continue reading

₹120/year

Start Digital Subscription

Already Subscribed? Sign in