যিনি অতি নির্মল বিকাররহিত পরব্রহ্ম, তিনি যেন একবার তপস্যা করলেন। আর তার পরই যেন তাঁর ভিতর থেকে জগৎ-জাল বহুমুখে ব্যাপ্ত হতে থাকল।
যিনি অতি নির্মল বিকাররহিত পরব্রহ্ম, তিনি যেন একবার তপস্যা করলেন। আর তার পরই যেন তাঁর ভিতর থেকে জগৎ-জাল বহুমুখে ব্যাপ্ত হতে থাকল। অগণিত প্রাণিবর্গ কোন অজানার উদ্দেশ্যে বাহ্যগামী যাত্রায় মগ্ন। বহু অন্বেষণেও এই দ্রুতির অন্ত নেই। তখন আবার নিজের ভিতর ফিরে দেখা শুরু হলো। জীব ততদিনে নিজের শুদ্ধ সত্তার আবরণে অশুদ্ধিকে এমনভাবে আষ্টে-পৃষ্ঠে জড়িয়েছে যে, আসল-নকল খুঁজে পাওয়াই ভার! কর্মের গতিতে পুরানো জটে নতুন করে জমেছে আবরণ। সেই আবরণে আবার নতুন কর্মের প্রেরণা। এই বীজাঙ্কুর সম্বন্ধের পরম্পরা বিচ্ছিন্ন হলেই আজকের ‘আমি’টির অতলে যে সদাচেতন আত্মা রয়েছেন—তাঁকে ফিরে দেখতে পাওয়া যাবে; সমস্ত অশুদ্ধি-জাল ভেদ করে স্বপ্রভ সত্তাটি বেরিয়ে আসবেন। এই ফিরে দেখার প্রচেষ্টাই তপস্যা। যে-তপস্যায় সংসারের সৃজন, সেই তপস্যাই সংসার-বন্ধন নাশ করতে আহ্বান জানায়। তপোবিভায় বিকশিত হয় চিত্তকমল। সেখানে পরমপদের অধিষ্ঠান।
Read the Digital Edition of Udbodhan online!
Subscribe Now to continue reading
₹100/year
Start Digital SubscriptionAlready Subscribed? Sign in
