ধর্ম-সংস্কৃতি ও অর্থনীতির যুগলবন্দি বহুকাল ধরেই বিদ্যমান। আরো সুস্পষ্টভাবে বললে বলা যেতে পারে যে, ধর্ম-সংস্কৃতি নানাভাবে অর্থনীতির গতিপথকে প্রভাবিত করে।

ধর্ম-সংস্কৃতি ও অর্থনীতির যুগলবন্দি বহুকাল ধরেই বিদ্যমান। আরো সুস্পষ্টভাবে বললে বলা যেতে পারে যে, ধর্ম-সংস্কৃতি নানাভাবে অর্থনীতির গতিপথকে প্রভাবিত করে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায় যে, একদিকে যেমন বহু স্থানে—ভারতে ও বিদেশে—পর্যটনশিল্প ধর্মস্থানকেন্দ্রিক, তেমনি অনেক‌ ক্ষেত্রে পর্যটনশিল্প ও অর্থনৈতিক কার্যকলাপ সাংস্কৃতিক উৎসব, রীতিনীতির ওপর নির্ভরশীল। বারাণসী, রোম ও মক্কার মতো পবিত্র ধর্মস্থানগুলি যেমন সেখানকার অর্থনৈতিক জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, তেমনি শান্তিনিকেতনের বসন্তোৎসব বা জার্মানির মিউনিখ শহরের ‘অক্টোবর ফেস্ট’-এর অর্থনৈতিক গুরুত্বও অস্বীকার করার উপায় নেই। কথায় আছে—বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ। নিন্দুকরা বলেন—বাঙালি উৎসবপ্রিয়। সমালোচকরা যাই বলুন না কেন, শিল্প, সাহিত্য, চারুকলা ও সংস্কৃতির বিভিন্ন‌ ক্ষেত্রে বাঙালি ও বাংলা, বিশেষত পশ্চিমবঙ্গ যে এক অগ্রণী স্থান অধিকার করে আছে তা নিয়ে সন্দেহের অবকাশ নেই। ব্যক্তিগতভাবে একদিকে যেমন রবীন্দ্রনাথ, মাদার টেরেসা, সত্যজিৎ রায়, অমর্ত্য সেন, অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়েরা আন্তর্জাতিক সম্মান ও পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন, অন্যদিকে আবার রাজ্য হিসাবেও পশ্চিমবঙ্গের জুটেছে কিছু জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি। এই রাজ্যের দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে বা দাির্জলিং টয়ট্রেন, সুন্দরবনের জীবপরিমণ্ডল ইউনেস্কোর ঐতিহ্যের অন্তর্ভুক্ত হয়েছে; পূর্ব কলকাতার জলাভূমি আন্তর্জাতিক রামসার তালিকাভুক্ত হয়েছে, বাঁকুড়ার আরাবারি বন সংর‌ক্ষণ ব্যবস্থা পেয়েছে আন্তর্জাতিক পুরস্কার। আর অতি সম্প্রতি আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ও পুরস্কারের তালিকায় যুক্ত হয়েছে কলকাতা তথা বাঙালির দুর্গোৎসব। ইউনেস্কো এই উৎসবকে দিয়েছে মানব-ঐতিহ্যের শিরোপা। বাঙালির দুর্গাপূজা বা শারদোৎসব নিঃসন্দেহে বাঙালির বৃহত্তম ও শ্রেষ্ঠ উৎসব, যার জন্য রাজ্যবাসী সারাবছর অপে‌ক্ষা করে থাকে অধীর আগ্রহে। এবার ইউনেস্কোর স্বীকৃতি এই উৎসবে এক নতুন মাত্রা যোগ করবে, যার গুরুত্ব শুধুমাত্র সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রেই সীমাবদ্ধ থাকবে না, তার ব্যাপ্তি অর্থনৈতিকভাবেও অনুভূত হবে। স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে পশ্চিমবঙ্গের অর্থনৈতিক বৃদ্ধি ও প্রসার নানাবিধ কারণে বাধাপ্রাপ্ত হয়েছে। যে-রাজ্য একদা দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক দিক থেকে অন্যতম অগ্রণী ছিল, কালক্রমে তা ক্রমশ পিছিয়ে পড়েছে। যদিও কৃষি‌ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গ সামগ্রিকভাবে দেশের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ফল প্রদর্শন করেছে বলে অনেকে দাবি করেন, তবুও শিল্প ও কর্মসংস্থানের নিরিখে পশ্চিমবঙ্গের অর্থনৈতিক...

Read the Digital Edition of Udbodhan online!

Subscribe Now to continue reading

₹100/year

Start Digital Subscription

Already Subscribed? Sign in