স্বামী ব্রহ্মানন্দজী সম্পর্কে আলোচ্য গ্রন্থটি নিঃসন্দেহে বৈশিষ্ট্যপূর্ণ। বিবিধ বিষয় আলোচিত হয়েছে এখানে। যেমন স্বামী ব্রহ্মানন্দজী ও নেতাজী প্রসঙ্গটি। লেখক সবিস্তারে আলোচনা করে দেখিয়েছেন, স্বামী ব্রহ্মানন্দজীর দিব্যদৃষ্টিতে ধরা পড়েছিল—সুভাষের জন্য সন্ন্যাসজীবন নয়, দেশের কাজে তাঁকে আত্মোৎসর্গ করতে হবে। দিলীপকুমার রায়কে সুভাষচন্দ্র পরে বলেছিলেন, স্বামী ব্রহ্মানন্দজীর কৃপা এবং পরামর্শেই তাঁর জীবনের গতি বদলে গিয়েছে।
ভগিনী নিবেদিতাও পেয়েছিলেন স্বামী ব্রহ্মানন্দজীর নীরব স্নেহ, ভালবাসা। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তাঁর সঙ্গে নিবেদিতার যে মতবিনিময় হয় তা প্রামাণ্য উদ্ধৃতির সাহায্যে মনোজ্ঞরূপে উপস্থাপন করেছেন লেখক।
স্বামী ব্রহ্মানন্দজীর কৃপালাভ করেছিলেন অপরেশচন্দ্র মুখোপাধ্যায় ও ক্ষীরোদপ্রসাদ বিদ্যাবিনোদ। তাঁদের দুটি অমূল্য সৃষ্টি যথাক্রমে ‘রামানুজ’ ও ‘নরনারায়ণ’ নাটক। স্বামী ব্রহ্মানন্দজীর অযাচিত কৃপায় প্লাবিত হয়েছে বঙ্গ রঙ্গমঞ্চ। এই আলোচনাটিও গ্রন্থের মান বৃদ্ধি করেছে।
সামগ্রিকভাবে বইয়ের ভাষা সাবলীল। পাঠকদের কাছে বইটি সমাদৃত হবে বলেই বিশ্বাস।
শ্যামল সিনহা রায়
ঐশিক পুরুষ স্বামী ব্রহ্মানন্দ
জয়ন্ত কুমার বসু
উজ্জ্বল সাহিত্য মন্দির, কলেজ স্ট্রিট মার্কেট, কলকাতা ৭। মূল্য ১১০ টাকা