১৯৫৪ সালে শ্রীশ্রীমায়ের জন্মশতবার্ষিকী উৎসব উদ্যাপন উপলক্ষে জয়রামবাটী গ্রামে দেশ ও বিদেশের ভক্তসমাগমের সম্ভাবনার কথা ভেবে বাঁকুড়ার তৎকালীন ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট এম. এ. টি. আয়েঙ্গার আমার বাবাকে ঐ গ্রামে ও আশপাশে ভক্তমণ্ডলীর সুবিধার জন্য সাময়িকভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহের ব্যবস্থাপনার সঙ্গে যুক্ত থাকতে বলেছিলেন।
১৯৫৪ সালে শ্রীশ্রীমায়ের জন্মশতবার্ষিকী উৎসব উদ্যাপন উপলক্ষে জয়রামবাটী গ্রামে দেশ ও বিদেশের ভক্তসমাগমের সম্ভাবনার কথা ভেবে বাঁকুড়ার তৎকালীন ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট এম. এ. টি. আয়েঙ্গার আমার বাবাকে ঐ গ্রামে ও আশপাশে ভক্তমণ্ডলীর সুবিধার জন্য সাময়িকভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহের ব্যবস্থাপনার সঙ্গে যুক্ত থাকতে বলেছিলেন। শুনেছি, এম. এ. টি. আয়েঙ্গার ছিলেন জয়রামবাটী ও কোয়ালপাড়া গ্রামে দীর্ঘকাল মাতৃসান্নিধ্যে বসবাসকারী নারায়ণ আয়েঙ্গারের পুত্র। আমার বাবা ক্ষিতীশচন্দ্র রায় (তখন বাঁকুড়া শহরে কর্মরত ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার) ও মা বাঁকুড়া মঠে অনেক বরেণ্য প্রবীণ ও নবীন সন্ন্যাসীর পূত সঙ্গ লাভ করেন এবং ঐ দশকের মাঝামাঝি সময়ে মঠের তৎকালীন ভাইস প্রেসিডেন্ট শ্রীমৎ স্বামী বিশুদ্ধানন্দজী মহারাজের নিকট দীক্ষালাভ করেন। সেই সময়ের একটি ঘটনার কথা আমার বাবা লিপিবদ্ধ করেছিলেন, যা আজ থেকে প্রায় ত্রিশ বছর আগে আমি পড়েছিলাম। লেখাটি কোথায় হারিয়ে গেছে, তাই স্মৃতি থেকে সেই ঘটনার খানিক বিবরণ দিলাম। স্বীয় গুরুদেব স্বামী বিশুদ্ধানন্দজী তখন জয়রামবাটীতে অবস্থান করছেন জানতে পেরে আমার বাবা ও মা শ্রীগুরু দর্শন ও প্রণামের অভিপ্রায়ে বাঁকুড়া শহর থেকে নিজের কুড়ি বছরের পুরানো সেকেন্ড-হ্যান্ড গাড়ি চালিয়ে জয়রামবাটীর উদ্দেশে রওনা হন। সকাল সকাল রওনা হয়ে ঐদিনই ফেরার অভিপ্রায় ছিল। কিন্তু মাঝরাস্তায় গাড়ি খারাপ হয়ে যায়। তখন ঐ অঞ্চলে কোনো মেকানিক ছিল না। তবে পেশায় ইঞ্জিনিয়ার হওয়ায় তিনি গাড়িটি সারাতে সক্ষম হন ও কোনোমতে অনেক বেলায় জয়রামবাটী পৌঁছান। পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গেই একজন ব্রহ্মচারী এসে তাঁকে বলেন : “আপনারা তাড়াতাড়ি হাত-পা ধুয়ে নিন।” বাবা একটু অবাকই হন, কারণ তাঁদের আসার খবর কাউকেই জানাননি। খাবারঘরে গিয়ে আরো অবাক হয়ে দেখেন যে, পাশাপাশি দুটি আসনের সামনে সাজানো দুটি থালায় খাবার ঢাকা দেওয়া রয়েছে। খাবারঘর খালি। প্রসাদগ্রহণের পরে তিনি আবার সেই ব্রহ্মচারীর দেখা পান এবং তিনিই তাঁদের পূজ্যপাদ মহারাজের কাছে নিয়ে যান। প্রণাম ইত্যাদির পর স্বামী বিশুদ্ধানন্দজী প্রশ্ন করেন : “তোমরা খেয়েছ তো?” বাবা উত্তর দেন : “হ্যাঁ মহারাজ, আমরা খেতে পেয়েছি।” উত্তর শুনে মহারাজ উচ্চহাস্য করে ওঠেন এবং...
Read the Digital Edition of Udbodhan online!
Subscribe Now to continue reading
₹100/year
Start Digital SubscriptionAlready Subscribed? Sign in