হুগলি জেলার আরামবাগ থানার অন্তর্গত গৌরহাটি গ্রামে ছিল শ্রীরামকৃষ্ণদেবের ভগিনী সর্বমঙ্গলাদেবীর শ্বশুরালয়। কোনো এক চৈত্র মাসে আমবারুণীর সময় শ্রীরামকৃষ্ণ আরামবাগের ডিহিবয়রা, কানপুরে অনুষ্ঠিত রঞ্জিত রায়ের দিঘির মেলা দেখতে আসেন।
হুগলি জেলার আরামবাগ থানার অন্তর্গত গৌরহাটি গ্রামে ছিল শ্রীরামকৃষ্ণদেবের ভগিনী সর্বমঙ্গলাদেবীর শ্বশুরালয়। কোনো এক চৈত্র মাসে আমবারুণীর সময় শ্রীরামকৃষ্ণ আরামবাগের ডিহিবয়রা, কানপুরে অনুষ্ঠিত রঞ্জিত রায়ের দিঘির মেলা দেখতে আসেন। সেসময় তিনি ভগিনীর গৃহে আগমন করেন। গৌরহাটি গ্রাম তখন থেকেই শ্রীরামকৃষ্ণের পাদস্পর্শে ধন্য। গত শতাব্দীর সাতের দশকে দুলাল দত্ত নিজ বাড়িতে ঠাকুর, মা ও স্বামীজীর পট স্থাপন করে নিয়মিত জন্মতিথি পালন শুরু করেছিলেন। কয়েক বছর পর স্বামী গদাধরানন্দের অনুপ্রেরণায় বর্তমান মন্দিরের স্থানে একটি মাটির চালাঘর নির্মাণ করে ঠাকুর, মা ও স্বামীজীর প্রতিকৃতি স্থাপন করে জন্মতিথি পালন এবং ঠাকুরের নিত্যপূজা, ভজন ও পাঠচক্র শুরু হয়। গোপালচন্দ্র মালের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করে আশ্রমের যাবতীয় কর্ম চলতে থাকে। ১৯৭১ সালে শিক্ষক অন্নদাচরণ ভট্টাচার্য বর্তমান পাকা মন্দিরের ভিিত্তপ্রস্তর স্থাপন করেন। প্রসঙ্গত, মন্দিরটি শ্রীরামকৃষ্ণের পদার্পণধন্য সর্বমঙ্গলাদেবীর শ্বশুরগৃহের কাছে। ১৯৭৮ সালে দ্বারকেশ্বর নদের প্রবল বন্যার পর বালি-দীঘরা গ্রামে রিলিফের কাজ দর্শন করতে আসেন স্বামী গম্ভীরানন্দ এবং স্বামী আত্মস্থানন্দ। কমিটির সদস্যবৃন্দের আমন্ত্রণে তাঁরা এই আশ্রমে আগমন করেন। শ্রীশ্রীঠাকুরের শ্রীচরণে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে স্বামী গম্ভীরানন্দ বলে ওঠেন : “সত্যকৃষ্ণ, ঠাকুর প্রকট হয়ে এখানে বসে আছেন।” উপস্থিত এক ভক্তকে তিনি এই আশ্রমের জন্য কিছু করার নির্দেশ দেন। লখনৌ-নিবাসী সেই ব্যবসায়ী ভক্ত পরবর্তিকালে আশ্রমের অধিকাংশ ব্যয়ভার বহন করেন। এছাড়া গ্রামের বর্ধিষ্ণু ও সম্ভ্রান্ত সিংহ রায় পরিবার বেশ কিছু জমি ও পুকুর দান করেন। এছাড়াও অন্যদের দান করা এবং পরবর্তী সময়ে ক্রয় করা এই আশ্রমের মোট জমির পরিমাণ বর্তমানে ৫.২৫ একর। ১৯৮৬ সালের ১২ মে অক্ষয়তৃতীয়ার দিন এই আশ্রমের দ্বারোদ্ঘাটন করেন স্বামী গম্ভীরানন্দ এবং ১৯৮৭ সালের ১১ জুন স্নানযাত্রার দিন ঠাকুরের মর্মর বিগ্রহ প্রতিষ্ঠা করেন স্বামী ভূতেশানন্দ। ২০০৯ সালের ১০ জুলাই বেলুড় মঠ এই আশ্রমটিকে অধিগ্রহণ করে। তখন থেকে এটি রামকৃষ্ণ মঠ, ময়াল ইছাপুর শাখার উপকেন্দ্ররূপে কাজ করতে থাকে। ২০১২ সালের ১ এপ্রিল কেন্দ্রটি বেলুড় মঠের স্বতন্ত্র শাখা হিসাবে স্বীকৃতিলাভ করে, নাম...
Read the Digital Edition of Udbodhan online!
Subscribe Now to continue reading
₹100/year
Start Digital SubscriptionAlready Subscribed? Sign in