আসলে ঈশ্বরের বাসনা দিয়ে আদিখণ্ডের শুরু
যেখানে দর্পণে নিজের রূপে মোহিত স্বয়ং শ্রীকৃষ্ণ বাসুদেব
নারীজন্মবাসনা করলেন; রাধা কী প্রকারে তাঁর বিভায় মুগ্ধ
কতখানি প্রণয়ের থালায় রাধা ঢেকে রেখেছেন তাঁর বিরহ
রাধাহৃদয়ের সংবেদনে প্রিয়তমের সুখ কত অসীম,
কতখানি দেশকালব্যাপী
সেই তিন অপূর্ণতার আকর্ষণে সচ্চিদানন্দ স্বয়ং বাসুদেব
মর্ত্যে এলেন লীলাময় চৈতন্যস্বরূপে
সেই মাহেন্দ্রক্ষণে,
রাধা ও কৃষ্ণ যুগলে একাবয়বে ভাগ হয়েছিলেন
আর আমাদের অশ্রুভারাতুর মেয়েটি, তার
প্রেমবিলাসিনী গোপন বিষাদ, ঘুমের চাদরে মুড়ে গড়িয়ে দিলেন
ফ্যাকাশে সূর্যাস্তের লাল ধুলোয় অনেক দূরের কোনও গৃহসন্নিকর্ষে
ছুঁয়ে থাকা সেপাই বুলবুলের মাধবীচূড়ায়
সেই সিঁদুর না-পরা মেয়ে
যে আর কাউকে চেয়ে বসেছিল,
পূর্বরাগ অনুরাগ বিপ্রলম্ভের একমুঠি ফাগ
বাংলা কবিতার বুকের থেকে কে
মুছে ফেলেছে কে জানে!