সে যেন আমার পূর্বজন্মের স্মৃতি,

সে যেন আধখানা খাওয়া ফল

উন্মনা শিশুর হাতের,

আমাকে বলছে ডেকে—

“বড় ‌ক্ষতি, নিয়ে যাও এই দুটো মাটির পুতুল…

আধা দামে বেচে দেব আজ”

কৃষকবধূরা গেছে কোন বনে

চাঁদের রুপালি থেকে কিছু মুদ্রা কুড়ানোর আশায়—

কারখানা বেঁকেচুরে পড়ে আছে যেন

এক শ্রমিকের নুয়ে পড়া হাড়গিলে পাখিদেহ,

বিষের কাঙালি!

আর সন্ধ্যা শিউরে ওঠা লাশের মতো ফিকে।

এত অবসন্নতা ধরে ধরে

উপরে উঠছে গাইড আর

একটি মাটির পাখিওয়ালা,

সে-পাহাড় আদিম কৌম যেন

উসকে দিচ্ছে,

বলে চল ফিরে যাই

সাধারণ যাপনের দিনে—

তারও যেন আধা দামে

বেচে দিতে মন চায়

এ করুণ বৈদ্যুতিক আলো,

এই ক্লান্ত শ্রমের দুনিয়া।

সে যেন আমার পূর্বজন্মই,

অরজা রোদ্দুর হয়ে লাগে দ্রাবিড় স্থাপত্যের গায়ে।

সবুজাভ প্রাচীন পাহাড়ে

দাঁড়িয়ে কিছু‌টা ‌ক্ষণ তাই দেখি—

শ্যাম কোন অনার্য রাখালের নাম,

আমি খুব ‌ক্ষুদ্র হতে হতে

উঠে যাই পাকদণ্ডী ধরে,

আমাকে পুতুল বানিয়েছে

পাহাড়ের দানব প্রস্তর।

“বড় ‌ক্ষতি নিয়ে যাও এই দুই মাটির পুতুল,

আধা দামে দেব”…

দু’টাকা খুচরো আমি ফিরত না নিয়ে ভাবি

আবার কখনো আমি ভ্রমণে আসব।