স্বাধীনতা হলো এমন এক সূক্ষ্ম সীমারেখা যেখানে শাসন অনাদর নয়, আবার আদরও যথেচ্ছাচার নয়। সেখানে সবটুকুই বড় ছন্দোবদ্ধ। সমাজ যতক্ষণ নিজের নিয়ন্ত্রণে থেকে তার নির্দিষ্ট উদ্দেশ্যকে
স্বাধীনতা হলো এমন এক সূক্ষ্ম সীমারেখা যেখানে শাসন অনাদর নয়, আবার আদরও যথেচ্ছাচার নয়। সেখানে সবটুকুই বড় ছন্দোবদ্ধ। সমাজ যতক্ষণ নিজের নিয়ন্ত্রণে থেকে তার নির্দিষ্ট উদ্দেশ্যকে সিদ্ধ করার পথে এগিয়ে চলে ততক্ষণ সামাজিক স্বাধীনতা লঙ্ঘিত হয় না। ব্যক্তি-স্বাধীনতার সংজ্ঞাতেও মানুষ আপন সত্তাকে স্বকীয় ধারায় বাহিত করতে প্রযত্ন করে। তবে সমাজ তার প্রধান উপাদান ব্যক্তির দ্বারা পরিচালিত হলেও ব্যক্তি-স্বাতন্ত্র্য কখনোই সমাজের সাধারণ বিধিকে অতিক্রম করতে পারে না। তখনই ব্যক্তি-স্বাধীনতা শব্দটির বাস্তব অস্তিত্বে সংশয় জাগে। আসলে সমস্যা ব্যক্তি-স্বাধীনতা নিয়ে নয়, স্বাধীনতাকে সম্যক বোঝার ভুলেই এই অস্বস্তি। বস্তুত, স্বাধীনতার মধ্যে যে স্থায়ী আনন্দ আছে, তার মূল চাবিকাঠি আত্মত্যাগে। আমরা যদি সমস্ত স্বার্থভাবনা বিসর্জন দিয়ে পরকল্যাণ ও সমাজহিতে আত্মবলিদান দিতে সংকল্পযুক্ত হই, তাহলে রাষ্ট্রীয় স্বাধীনতাতেই আমরা নিত্যসুখী হতে পারব। পৃথক ব্যক্তি-স্বাধীনতার তখন প্রয়োজন হবে না। সেইভাবেই বীর দেশনায়কেরা বিরাট মহীরুহের মতো নিজেদের নিঃস্ব করে দিয়ে রিক্ত বৃক্ষশাখাগুলিকে অনেক উচ্চতায় মেলে ধরেছেন। সেই শাখার গৈরিক ত্যাগ-কুসুমে আমাদের পথ কোমল ও বর্ণিল হয়ে রয়েছে; আত্মনিবেদনের মহান আদর্শ বিছিয়ে পড়েছে চতুর্দিকে।
Read the Digital Edition of Udbodhan online!
Subscribe Now to continue reading
₹100/year
Start Digital SubscriptionAlready Subscribed? Sign in